নিউজ ডেস্ক -"১৭ এপ্রিল ওদের সংঘর্ষ করার দিন। প্ররোচনায় কেউ পা দেবেন না।" কোচবিহারের সভা থেকে এই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। রামনবমীর ঠিক আগের দিনই বালুরঘাটে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের প্রচারে এসে রামনবমী ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বললেন, “রামনবমী রোখার জন্য তৃণমূল সব রকমের ষড়যন্ত্র করেছে।”
আগামীকাল রামনবমী আর ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। রামনবমী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে আশঙ্কার সুরও। সোমবার কোচবিহারের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “রামনবমী ওদের সংঘর্ষ করার দিন।” সভায় উপস্থিত সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছিলেন, “ওদের প্ররোচনায় কেউ কান দেবেন না। সংঘর্ষে পা বাড়াবেন না। কেউ যদি আপনাকে গালাগালিও দেয়, তা-ও যাবেন না।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি, রামনবমী সম্মানের দিন, ঐক্যের দিন।” তারই পাল্টা প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শোভাযাত্রার অনুমতি থাকে না, কিন্তু শোভাযাত্রায় ঢিল ছোড়ার লোকেদের অনুমতি দেওয়া হয়।”
মুখ্যমন্ত্রী এইরকম বক্তব্যের পরই রাজ্যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছেন। যত রকমের উস্কানি দেওয়া যায়, মুখ্যমন্ত্রী তাই করছেন।” মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যের ঠিক ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে বাংলায় এসেই প্রধানমন্ত্রী জবাব দেন, “রামনবমী আটকানোর সমস্ত রকমের ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল। রামনবমী গুরুত্বপূর্ণ, নববর্ষও গুরুত্বপূর্ণ আর নবরাত্রিও গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন, “আমি জানি, তৃণমূল প্রত্যেকবারের মতো এখানে রামনবমী আটকানোর জন্য সব ষড়যন্ত্র করেছে, কিন্তু জয় সত্যেরই হয়েছে। এই কারণে আদালতের থেকে অনুমতি মিলেছে। কাল রামনবমীর শোভাযাত্রা বের হবে।”
প্রসঙ্গ অনুযায়ী, গত বছর রামনবমীকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। এদিন রাজ্য সরকার শোভাযাত্রার রুট বদলের আবেদন জানিয়েছিল। তবে শর্তসাপেক্ষে রামনবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দেয় আদালত। তবে এদিন মোদী এটাও স্মরণ করিয়েছেন,এইবারের রামনবমী বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই প্রথম রামনবমী হচ্ছে, যখন অযোধ্যায় রামলালা বিরাজমান।