কৃষকের মেয়ে জানান, তাঁর বাবাকে সালিশিসভায় ডেকে খাওয়ানো হয় মল-মূত্র। তারপর বাড়ি ফিরে ভেঙে পড়েন জয়দেব। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মৃত্যুর কারণ নিয়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক কিশোরী। আর তাতেও নাকি দায়ী করা হয় জয়দেব বর্মণকে। অভিযোগ, ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ার পর কৃষককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সালিশি সভায় বসানো হয়। এরপর মল মূত্র খাইয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার রাতে জয়দেবকে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী বাড়ি থেকে নিয়ে যায় বলে দাবি তাঁর স্ত্রীর। তারপর রাতে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তারপর বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পিছনে গাছ থেকে উদ্ধার হয় কৃষকের ঝুলন্ত দেহ।
মৃতের পরিবারের দাবি করছেন, কুসংস্কারের বলি হয়েছেন জয়দেব বর্মণ। তাঁদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিবারে রয়েছে তাঁর তিন মেয়ে ও স্ত্রী। রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা। মালদহের চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের সন্ধান এখনও অবধি পাওয়া যায়নি।