নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে বেনজির অভিযোগ এক মহিলার। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুললেন রাজভবনে কর্মরত এক মহিলা।
নিজেকে রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন ওই মহিলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হেয়ার স্ট্রীট থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা।
মহিলার অভিযোগ সামনে আসার পরই তা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজনৈতিক মহল। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘একটি মেয়ের শ্লীহতাহানি হয়েছে। এটা তো ক্ষমাযোগ্য নয়। এটার তো বিহিত হওয়া দরকার। এতে কোনও চেয়ার (পদ) অভিযুক্তকে রক্ষাকবচ দিতে পারে না। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সবাই এত সরব ছিল। এখন সবাই কোথায়? আমরা তো কখনও বলিনি, সন্দেশখালিতে কিছু হয়নি। এখন যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও মানুষের মুখ খোলা দরকার। এ সবের জন্য বাংলার বদনাম হচ্ছে। বাইরে থেকে এসে বাংলাকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।’’
অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘অভিযোগ সত্য না কি চক্রান্ত, সেটা দেখতে হবে। ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে, সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূল কোণঠাসা। এই অভিযোগ ভোটের মুখে রাজনৈতিক চক্রান্ত কি না, তা দেখতে হবে। যদি সত্য হয়, তবে নিশ্চয়ই কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ করবে।’’
প্রসঙ্গত গতকালই রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজভবনেই রাত্রিবাস করেছেন তিনি। আজ রাজ্যজুড়ে তার একাধিক সভা রয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী আসার সময়ই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এমন নজির বিহীন অভিযোগ আনলেন এক মহিলা। এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাজ্যপালের সাংবিধানিক রক্ষাকবচ রয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৬১ অনুসারে, কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ তাঁর বিরুদ্ধে করা যায় না।’’ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ অতীতে উঠেছে বলেও মনে করতে পারেননি তিনি।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সংবিধানের রক্ষাকবচ পাওয়া রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে কী করণীয় সে বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিতে চলেছে পুলিশ প্রশাসন।