মৃতের নাম মধুসূদন রায় (৩২)। রবিবার রাত্রিবেলা তিনি মেয়ের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেন। এরপর তাঁর মা দেখতে পেয়ে চেঁচামেচি জুড়ে দেন। দ্রুত ফাঁস কেটে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত্রিবেলা খাওয়া দাওয়া সেরে নিজের ঘরে মা ও সন্তানদের ঘুমোতে যায় মধুসূদন। গভীর রাতে মধুসূদন তাঁর মাকে বলেন মেয়েকে অন্য ঘরে ঘুমোতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এইটুক সময়ের মধ্যে ওই ব্যক্তি নিজের ঘরে মেয়ের ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগায়। মৃত ব্যক্তি পেশায় ছিল প্যান্ডেল ব্যবসায়ী। মৃত মধুসূদন রায়ের স্ত্রী ময়নাগুড়ি থানায় কর্মরত লেডি পুলিশ। তিনি বর্তমানে নির্বাচনের কাজে বাইরে আছেন। খবর পাওয়ার পর তিনি বাড়িতে রওনা দিয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মামা নব রায় বলেন, “বাড়িতে কোনও অশান্তি ছিল না। কিন্তু আমার ভাগ্নে এর আগেও কয়েকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল। কিন্তু প্রাণে বেঁচে যায়। মাঝেমধ্যে বলতো ওই যে আমাকে ডাকছে। আমরা ভাগ্নেকে চোখে চোখে রাখতাম। কিন্তু গতকাল আর তাকে বাঁচানো যায়নি। ওর দুটি নাবালিকা কন্যা রয়েছে।”
খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মর্গে পাঠায় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।