হারের হ্যাটট্রিকের পর অবশেষে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৩৫ রানে জয় গুজরাট টাইটান্স এর

নিউজ ডেস্ক - বহুদিন পর আত্মবিশ্বাসী ক্যাপ্টেন শুভমন গিল ফর্মে ফিরলেন। আইপিএল কেরিয়ারে তাঁর চতুর্থ। এ মরসুমে প্রথম সেঞ্চুরি। আর এক ওপেনার সাই সুদর্শনের সেঞ্চুরিতে চেন্নাই সুপার কিংসকে ২৩২ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। হারের হ্যাটট্রিকের পর অবশেষে জয়ে ফিরল টাইটান্স। শুভমন-সাইয়ের ব্যাট হাতে অনবদ্য পারফরম্যান্সের পাশাপাশি বোলিংয়ে মোহিত শর্মা ও রশিদ খান। তবে আমেদাবাদে ধোনির ব্যাটিং কিছুক্ষণের জন্য হলেও বিনোদন দিল দর্শকদের। ৩৫ রানে জয় টাইটান্সের।

গত বার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও গুজরাট টাইটান্স। বৃষ্টির কারণে ফাইনাল গড়িয়েছিল রিজার্ভ ডে-তে। এ মরসুমে চেন্নাইতে দু-দল আগেই মুখোমুখি হয়েছিল। এ বার আমেদাবাদে বদলা নিল টাইটান্স। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। সেটাই যেন ভুল প্রমাণিত হল। বড় রানের চাপ সামলাতে যেমন ব্যাটিং প্রয়োজন ছিল, সেটা হয়নি।

দলে বেশ কিছু পরিবর্তন করেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক ঋতুরাজ। ওপেনিংয়ে ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র। এই ম্যাচে ছাপ ফেলতে পারলেন না। ডেভিড মিলারের অনবদ্য ফিল্ডিংয়ে রান আউট রাচিন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার অজিঙ্ক রাহানে এবং ক্যাপ্টেন ঋতুরাজও ফেরেন দ্রুতই। মাত্র ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চেন্নাই। সেখান থেকে ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিলেন ড্যারেল মিচেল ও মইন আলি।

মিচেলকে ফিরিয়ে বড় ব্রেক থ্রু দেন মোহিত শর্মা। মইন আলি এবং শিবম দুবেকেও ফেরান মোহিতই। মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন নামেন, চেন্নাই সুপার কিংসের প্রয়োজন ২০ বলে ৬৭ রান। উল্টোদিক থেকে মিচেল স্যান্টনার, জাডেজার উইকেট পড়ে। ধোনি ১১ বলে ২৬ রান করেন। হারের ব্যবধান অনেকটাই কমান। টাইটান্সের জয়ে স্বস্তি পেল দিল্লি ক্যাপিটালস, আরসিবির মতো দল।

Priyanka Dey

প্রিয়াঙ্কা দে । আশুতোষ কলেজ থেকে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা । পরে খেলাধুলা নিয়ে মিডিয়া জগতে প্রবেশ। বর্তমানে DNN বাংলার ও KKR এর কনটেন্ট টিমে কর্মরত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন