নিউজ ডেস্ক: হুগলিতে দিদি নং ১ । রাজনীতির আঙিনায় নতুন হলেও অভিনয় ও রিয়ালিটি শো সঞ্চালনার সুবাদে তিনি যথেষ্ট পপুলার। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবার পর প্রতিটা দিনই ছিল ভালোবাসায় মোড়া, এমনটাই জানাচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একদিন পরেই হুগলিতে নির্বাচন। শনিবার ছিল প্রচারের শেষ দিন। শেষ দিনে মানুষের হাসি মুখ সম্বল, অকপট স্বীকারোক্তি প্রার্থীর ।
শনিবার শেষ দিনের প্রচারে বার হয়েছিলেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে তিনি পান্ডুয়ার বৈঁচি নুনিয়াডাঙ্গা থেকে একটি রোড শো শুরু করেন। বৈঁচিগ্রাম স্টেশনে তা শেষ হয়। হুডখোলা গাড়িতে জনসংযোগ করেন রচনা। বিকেলে প্রচার করেন হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায়।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দেড় মাস ধরে প্রচারের কারণে হুগলিতেই ছিলেন রচনা।এলাকাবাসীর বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছেন, কারও বিয়ে বাড়িতে হঠাৎ হাজির হয়ে আশীর্বাদ করে এসেছেন। কথা দিয়েছেন জীবনভর সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন।
উল্টোদিকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও যথেষ্ট সাড়া পেয়েছেন এই প্রার্থী। অনেক জায়গাতে প্রচারে যাওয়ার কর্মসূচি থাকলেও সময়ের অভাবে পৌঁছতে পারেননি অনেক এলাকাতেই আর তাতেই কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল ক্ষোভ। যে ক্ষোভের উত্তরে মজার ছলে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন 'আমাকে দু’টুকরো করে দিলে ভালো হয়। তাহলে আমি সব জায়গায় পৌঁছাতে পারি। না হলে আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না সব জায়গায় পৌঁছানো। সকলে আশা করছে। কিন্তু, কিছু করার নেই। '
প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পর প্রথম দিন সিঙ্গুরে এসে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানার উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেছিলেন, 'শিল্পের ধোঁয়া তিনি হুগলিতে দেখেছেন। সেখানে প্রচুর শিল্প হয়েছে।'এই মন্তব্যের কারণে রীতিমতো ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন প্রার্থী। এরপর থেকেই একাধিক বার তার একাধিক মন্তব্য কে ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে সবকিছুর পরেও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট উত্তর
'মিম দেখে তিনি মজা পান। সব পাবলিসিটিই প্রচার। খুব একটা এই সমস্ত কথা গায়ে মাখেন না তিনি।'
তবে শনিবারের প্রচারের একেবারে শেষ দিনে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ''আজকে ধোঁয়ার জায়গায় নেই। এদিন শুধু মানুষের হাসি মুখ দেখতে পেলাম। যাই হয়ে যাক প্রচুর মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ফেরত যাব।'