অভিষেকের বক্তব্য
১. অভিষেক: ওরা বলছে বিজেপি জিতলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে। কিন্তু জিতবে তৃণমূল। সুভাষবাবু যখন ভোট চাইতে যাবেন সেই সময় গাছে বেঁধে জিজ্ঞাসা করুন আপনার দলের সদস্য বলছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে চায়। আপনাদের দলের অবস্থান কী? আমি কথা দিচ্ছি যত তৃণমূলের প্রতিনিধিরা এই জেলায় থাকবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডর বন্ধ হবে না।
২. অভিষেক: সুভাষবাবুকে জিজ্ঞাসা করুন উনি বাঁকুড়ার জন্য একটা বৈঠক বুথে করেছেন? উনি মানুষের একশো দিনের টাকা আনার জন্য চিঠি লিখেছেন? আমি তৃণমূলের হয়ে কোনও ভোট চাইতে আসব না। এখানে চাষ যোগ্য জমির পরিমাণ কম। ১০০ দিনের কাজের টাকা ম্যাটার করে।
৩. অভিষেক: আপনারা ২০১৯ সালে সুভাষ সরকারকে ভোট দিয়ে মোদীজির কথা বিশ্বাস করে ওনাকে সংসদে পাঠিয়েছিলেন। ২০২১ সালে রানিবাধ, রায়পুর, তালডাঙরা ছাড়া জঙ্গলমহল অধ্যুষিত যে তিনটি বিধানসভা রয়েছে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি বিধায়ককে জিতিয়েছিলেন। যখন ভায়েরা বলেছিল ১০০ দিনের টাকা পাই না তখন বলেছিলাম, কাকে ভোট দিয়েছ? বলছে ভুল করে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। ওদের চোখে দেখতে পাই না। পাঁচ বছরে পাঁচ সপ্তাহে কোনও সময় উনি দেননি। এখন যেই ভোট ঘোষণা হয়েছে সুভাষ সরকার কারোর জুতো পালিশ করছেন কাউকে সাবান দিয়ে স্নান করাচ্ছেন। আমি বলব প্রয়োজনে শৌচালয় পরিষ্কার করান। আপনাদের পাঁচ বছর ঠকিয়েছে। আপনিও ওদের ঠকান।
৪. অভিষেক: তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির সময় আমি দেখেছি রাত্রি ১০টা নাগাদ মায়েরা বোনেরা শঙ্খধ্বনি দিয়েছেন। পুস্প বর্ষণ করে আশীর্বাদ জানিয়েছিল। আমায় রাস্তায় যেতে যেতে মায়েরা দিদিরা বৌদিরা দাদারা বলেছিল বাবা ১০০ দিনের কাজ করেছি, আমরা টাকা পাইনি। টাকা আনার ব্যবস্থা করো। কত মায়েরা বলেছিল, মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে ৫০০ টাকার লক্ষ্মীর ভান্ডারে চলছে না। দিদিকে বলো না টাকাটা বাড়াতে। আমি বলেছিলাম মা আপনার অধিকারকে লড়াই করুন। আমরা আপনার পাশে আছি।