স্থানীয় সূত্রে খবরে জানা যায়, এইদিন সন্ধ্যা ৭টার পর হাসপাতালের থার্ড ফ্লোরের জানালার পাশে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর তারা নিরাপত্তা কর্মীদের খবর দেন। পরে হাসপাতালের কর্মীরা আগুন নিভিয়ে দেয়। তবে যাঁদের রোগী হাসপাতালে ভর্তি, তাঁরা ভয়ে আতঙ্কে কী করবেন বুঝতেই পারছিলেন না।
চিৎকার করতে থাকেন হাসপাতালের নীচে থাকা লোকজন। চোখের সামনে আগুন জ্বলতে দেখে ভয়ে ছুটোছুটি শুরু করেন বাড়ির লোকেরা। কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় অল্পের জন্য বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।
শ্যামল রায়ের মা আইসিইউয়ে ভর্তি। তিনি সাততলায় ছিলেন। বলেন, “হঠাৎ শুনি আগুন লেগেছে। তারপরই নেমে আসি কী পরিস্থিতি দেখতে। যদিও এসে দেখি আগুন নিভে গিয়েছে।” এ বিষয়ে হাসপাতালেরই অগ্নি নির্বাপণ কর্মী রানা দাস বলেন, “আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি। কোনও ক্ষতি হয়নি।”
এমএসভিপি কল্যান খাঁ জানান, তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, কেউ ধূমপান করে জানলা দিয়ে বিড়ি বা সিগারেটের টুকরো ফেলে দেয়। আর জানালায় ঝুলে ছিল কাপড়ের টুকরো। তাতেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত হবে বলে জানান তিনি।