বুধবার যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে বারুইপুরে ছিল একটি জনসভা। সেখানে বক্তব্য রাখার সময়ই এমন অভিযোগ তোলেন মমতা। তিনি দাবি করেন, লোকসভা ও বিধানসভায় কার ভোট কারা পাবে, সেই সমঝোতা হয়ে গিয়েছে বাম ও পদ্ম শিবিরের মধ্যে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট পাবেন বামেরা আর বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ভোট পাবে বিজেপি- এমনটাই নাকি ঠিক হয়েছে দুই দলের মধ্যে।
এ কথা শুনে দমদমের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন, দমদমে এসে কেন এ কথা বললেন না মমতা। তিনি বলেন, “দমদমে এতগুলো সভা করলেন সেখানে তো বলেননি। হঠাৎ যাদবপুরে গিয়ে বলতে হচ্ছে কেন। এর পিছনে কোনও গভীর অঙ্ক আছে নাকি!” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ইনটেলিজেন্স রিপোর্ট ফেল।” সুজন মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাম জমানায় রাজ্যে খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি। তাঁর কথায়, তৃণমূলের বদান্যতায় বিজেপি এখন খাতা খুলতে শুরু করেছে।
আবার, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, মমতা বুঝে গিয়েছেন যে দমদমে এবার তৃণমূলের হার নিশ্চিত। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন শমীক। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, মাত্র ৫৩ হাজার ভোটে হেরেছিল বিজেপি। তার থেকে দমদমবাসী শিক্ষা নিয়েছে বলেই মনে করেন তিনি।