অভিষেকের বক্তব্য যে, তৃণমূল চেয়েছিল যে দল যেখানে শক্তিশালী, অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলি যেন সেই দলকে সাহায্য করে। কিন্তু অধীর চৌধুরীর জন্যই বাংলায় ইন্ডিয়া জোট কার্যকর হয়নি বলে আক্রমণ শানালেন অভিষেক। বহরমপুরে প্রচারে গিয়ে এদিন অধীর চৌধুরীকে তুমুল আক্রমণ তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন- কমান্ডের। অভিষেক বলেন,"অধীরবাবুর এমনিই কী পরিণতি হয়েছে, আপনারা দেখছেন। যার তার দিকে তেড়ে যাচ্ছেন, এসব হতাশার বহিঃপ্রকাশ। হাত মুচড়ে দিচ্ছেন, দুমড়ে দিচ্ছেন। কাউকে খ্যাক খ্যাক করে কামড়াতে আসছেন। আমি বলি, অধীরবাবু মাথা ঠান্ডা রাখুন। এখনও তো ছয় দিন আছে। আপনি যদি এসব করেন, আপনার ভোট আরও কমবে। তিন নম্বরের জায়গায় আপনি চার নম্বর হয়ে যেতে পারেন। পরাজয়টাও যেন সম্মানীয় হয়, সেটা সুনিশ্চিত করুন।"
বঙ্গ রাজনীতিতে বহরমপুরকে এককথায় বলা হয় অধীর চৌধুরী দুর্গ। দীর্ঘদিনের সাংসদ তিনি এই এলাকার। ভরা তৃণমূলের জমানাতেও নিজের দুর্গ আগলে রেখেছেন অধীর। কিন্তু এতগুলি বছরে বহরমপুরে কী উন্নয়ন হয়েছে, সেই নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, “১৯৯৯ সালে সাংসদ হয়েছিলেন। আজ ২০২৪ সাল। ২৫ বছর ধরে সাংসদ রয়েছেন। প্রথম পাঁচ বছর আমি ছেড়ে দিলাম। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ছিল। বহরমপুরের কোন বুথে কটা উন্নয়নের ডালি নিয়ে এই দশ বছরে পৌঁছেছেন অধীরবাবু?”