নিউজ ডেস্ক - রেমালের প্রভাবে গতকাল অবধি ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নাজেহাল ছিল দক্ষিণবঙ্গবাসী। মঙ্গলবার সকাল থেকে বদলেছে পরিস্থিতি। রোদের চওড়া হাসি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু রেমাল গিয়েও যেন যাচ্ছে না। তার প্রভাব এবার পড়ল সবজি চাষের উপর। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সবজি। কমছে জোগান। ফলে, সবজি কিনতে গিয়ে যে মধ্যবিত্তর পকেটে ছেঁকা লাগতে পারে সে কথা অস্বীকার করছেন না কৃষকরা। আগামী একমাস ফলন কমতে পারে সবজির।
রেমালের জেরে টানা দু’দিন ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। হুগলিতে মূলত পটল, বরবটি, বিম, কড়লা, ঝিঙে, নোটেশাক,ঢেড়শ চাষ হয়ে থাকে। জেলাজুড়ে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয় সবজির। অপরদিকে, এই সময় তিল ও বাদামের চাষ হয় জেলায়। তবে টানা বৃষ্টির জেরে সেই সবজিই এবার পচনের মুখে। সৃষ্টিধর বিশ্বাস নামে এক কৃষক বলেন, “কড়াই গাছের ফুল ঝড়ে গেল ঝড়ের জন্য। পাতা ঝরে গেল। ফলন হল না। তারপর আবার চড়া রোদ হচ্ছে। আর এই রকম হতে থাকলে ফলনের জোগান কমবে। বাজারে দাম বাড়বে সবজির। কারণ শনিবার বাজারে সবজির যা দাম ছিল আজ মার্কেটে আরও চড়া দাম।”
কৃষকরা বলছেন, প্রখর রোদের কারণে সবজির ক্ষতি হয়েছে। তারপর আবার বৃষ্টি। যার জেরে ঝিমিয়ে যাচ্ছে গাছ। এর ফলে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা। আর আগামী একমাস এর জেরে বাজারে কমে যেতে পারে সবজিও। কিনতে হতে পারে দ্বিগুণ দামে। কৃষি দফতর জানাচ্ছে, রেমালের ঝড় বৃষ্টির কারণে সবজি চাষে খুব বেশি ক্ষতি না হলেও তিল চাষে বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে জেলা কৃষি দফতর।