চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌধুরী গ্রামে। এই চৌধুরী গ্রামের অনুপ মণ্ডলের সঙ্গে ৬ বছর আগে বিয়ে হয় মধুমিতার। তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ অনুপ ও তাঁর মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। অপরদিকে মৃতার ময়নাতদন্তের তোড়জোড়ও চলছে।
ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মৃতার বাবা। শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, “নির্যাতন করে ফেরে ফেলেছে ওরা। বারবার টাকার দাবি করত। টাকা না দিলে মারধর করা হতো। খেতে দেওয়া হতো না। বাড়িতে আটকে রাখত। এদিন ওদের বাড়ি থেকে ফোন করে বলা হয় আপনার মেয়ের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে বলছে মারা গিয়েছে। আমাদের ধারনা বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে। ৬ বছর হয়েছে ওদের বিয়ে হয়েছে। ৪ বছর হল নির্যাতনের পরিমাণ বেড়ে যায়। আমরা ওদের ফাঁসি চাই।”
মৃতার কাকা ভগীরথ সর্দার বলেন, মেয়ের শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ, জামাই খুবই অত্যাচার করতো। জামাই তো খুবই মারতো। রাতে মদ খেয়ে বাড়ি এসে চলত অত্যাচার। ওদের একটাই দাবি, মদের টাকার জোগান দিতে হবে। গতকাল রাতে অত্যাচারের সব সীমা ছাড়িয়ে দেয়। গলা টিপে ধরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে দেয়। আমরা চারজনের নামে অভিযোগ করেছি। জামাই, শ্বাশুরির ফাঁসি চাই।