পরিবার সূত্রে খবর, দুদিন আগেই পবিত্র মামার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। তার মামাবাড়ির পাশেই রয়েছে একটি আশ্রম। সকালে হাঁটতে হাঁটতে সেই আশ্রমে ঢুকে পড়েছিল সে। তারপর দীর্ঘক্ষণ ধরে তাকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। আশ্রমের ভিতর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর পবিত্রর মামা চিৎকার শুরু করলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পবিত্রকে উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আশ্রমের মাতাজি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি। এমনকি সাংবাদিক মোবাইলও কেড়ে নেন তিনি। অফ ক্যামেরা তিনি জানিয়েছেন, আশ্রমে ঢুকে পবিত্র নাকি বিভিন্ন জিনিস চুরি করে। এই অভিযোগে তাকে আশ্রমে ডেকে পাঠানো হয়। ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই আশ্রমে অসামাজিক কাজকর্ম হয়। হয়তো কোনওভাবে পবিত্র তা দেখে ফেলে। সেই বিষয়টি ঢাকতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পবিত্রর মা বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। আশ্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, ক্যামেরার সামনে তাঁরা কেউ মুখ খুলতে চাননি।
পবিত্রর মামা বলেন, “ঘটনার সময়ে আমি বাইরে কাজে ছিলাম। রাতে এসে শুনি, পবিত্রকে ডেকে নিয়ে গিয়েছে ওরা। আমিও সেই শুনে যাই। তারপর আমাকেও চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করে। রাত ১১ টায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। আমি যখন যাই দেখি পবিত্রর হাত পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে।"