পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল ছুটির পর রূপকথা ও তার সঙ্গে আরও দুই অষ্টম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী রাস্তা পার করে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠে। এরপর এক্সপ্রেসওয়ের মাঝের কাটা জায়গা দিয়ে অন্য লেনে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, একটা লেন পার করে অন্য লেনে যাওয়ার সময়েই উল্টোদিক থেকে লরি চলে আসে। এমনিতেই এক্সপ্রেসওয়ের ওপর স্বাভাবিকের থেকে বেশি গতিতেই চলে গাড়ি। সামনে তিন-তিনটে স্কুলপড়ুয়াকে দেখেও সময়ে ব্রেক কষতে পারেননি চালক।
তিন জনকেই ধাক্কা মেরে কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়ায় লরিটি। স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে স্থানীয় দোকানিরা ছুটে আসেন। ততক্ষণে চালক পালিয়ে যায়। রূপকথা বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে। তিন জনকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রূপকথাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার আকস্মিকতায় ভেঙে পড়েন স্কুলের শিক্ষিকারাও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাকি দুজন নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। পাতুলিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কিশোর বৈশ্য বলেন, “অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের লেন পার করার সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে।”