মন্তেশ্বরে ১৬৮ নম্বর বুথের বিজেপি বুথ এজেন্টের নাম অভিজিৎ রায়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মাটির দেওয়ালে ঠেস দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থা ফেলা ছিল দেহ। এই ঘটনায় বিজেপির তরফে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের আগের দিন অভিজিৎ রায়কে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। ভোটের পর এলাকায় বিজেপি জিতছে, তা বুঝতে পেরেই পরিকল্পনা করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
বিজেপি নেতা বলেন, “আমরা একশো শতাংশ নিশ্চিত, এটা তৃণমূল খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তোতা খান, সাবির খান একদিন আগেও অভিজিৎকে হুমকি দিয়েছে। এবারের ভোটে মানুষ ভোটটা দিতে পেরেছে। ওরা নিশ্চিত বুঝে গিয়েছে হারছে। তাই খুন।”
অপরদিকে, গোসাবা বিধানসভা এলাকার লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিখালির বাসিন্দা তাপস বৈদ্য। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। এলাকাতেই তাপসের একটা চায়ের দোকান রয়েছে। পরিবারের দাবি, বুধবার রাতে তাপস বাড়িতে ফেরেননি। পরিবারের তরফ থেকে গ্রামের একাধিক জায়গায় খোঁজ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে থানায় বিষয়টি জানানোও হয়। তারপরই মৃতদেহটি গাছে ঝুলতে দেখা যায়। অভিযোগ, তাপসকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে সুন্দরবন উপকূল থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত দুটো ক্ষেত্রেই তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ভোট আবহে একই দিনে বাংলার দুপ্রান্ত দুই রাজনৈতিক কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সক্রিয় রাজ্য পুলিশও। এরইমধ্যে মন্তেশ্বরে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে গোসাবায় ভোটের আগে তৃণমূল কর্মীর রহস্যমৃত্যুতেও চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে।