এরপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও বছর চোদ্দর ওই কিশোর বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চিন্তায় পড়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনও লাভ না হওয়ায় শেষে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অপর কিশোরের বাড়ি যান নিখোঁজ কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। ওই কিশোরকে চাপ দিতেই তখন নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে বাথরুমের দরজা খুলে দেয়। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। বন্ধ শৌচালয়ের ভিতর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় অষ্টম শ্রেণির কিশোরের দেহ।
এইদিকে ওই ঘটনার পর মৃত কিশোরের দেহ কবরস্থও করা হয়েছিল। তারপর মঙ্গলবার মৃত কিশোরের পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ অপর নাবালক কিশোরকে গ্রেফতার করে। বুধবার ওই বছর পনেরোর কিশোরকে পেশ করা হয়েছিল জুভেনাইল কোর্টে। শেষে আদালত নির্দেশ দেয়, মৃত কিশোরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য। সেই মতো আজ বসিরহাট থানার পুলিশ মৃত কিশোরের দেহ কবর খুঁড়ে বের করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে।