সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, চুইখাদান থানা এলাকার আমলিদিহকালা গ্রামে বাড়ি তাঁদের। শুক্রবারই নাবালিকা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পুলিশকে সে জানায়, ঘটনার দিন সে ও দাদা বাড়িতে ছিল। বাকিরা বেরিয়েছিল। নাবালিকার কথায়, সেদিন দাদা বারবার তার ফোনে কথা বলা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন। দাদার মনে হতো, বোন সারাদিন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে গল্প করে। অভিযোগ, এরপরই দাদার উপর ধারাল কুড়ুল চালিয়ে দেয় বোন। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন যুবক। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এমনকী এই ঘটনার পর ওই নাবালিকা স্নান করে গায়ে লেগে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে ফেলে। তবে পুলিশি জেরায় সবটা শিকার করে সে।
মনোবিদদের মতে, পরিবারের লোকেরা আজকাল অনেক ছোট বয়সেই সন্তানদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেন। সর্বক্ষণের সঙ্গী থেকে তাদের কেউ দূরে সরাতে চাইলেই তা রাগের কারণ হয়ে ওঠে। আর রাগলে হিতাহিত জ্ঞান চলে যায়। সেখান থেকেই বাড়ে অপরাধপ্রবণতা। একেবারে ছোট শিশুদেরও আজকাল মোবাইল ফোন দিয়েই ভোলান অভিভাবকরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমান প্রজন্মকে শুধু দুষলে হবে না, সচেতন হতে হবে সমাজকেও।