গত ২১ মে এই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন, ভারতীয় পর্বতারোহী রাজন দ্বিবেদী। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, মাউন্ট এভারেস্টে ওঠার পথে রীতিমতো মানুষের ভিড়, দেখলে মনে হতে পারে কলকাতার পুজোয় মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে। ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছিল, একটি একক দড়ির লাইন বরাবর আরোহীরা উপরের দিকে উঠছেনও, আবার একই পথে নীচের দিকে নামছেনও। প্রায় যানজটের মতো পরিস্থিতি। যে কোনও মুহূর্তে বিপদে পড়তে পারেন পর্বতারোহীরা।
রাজন দ্বিবেদী জানিয়েছেন, এভারেস্টের উপর প্রায় নরকের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতি বছর, প্রায় ৫০০ ব্যক্তিকে আরোহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনভিজ্ঞ পর্বতারোহী, এমনকি সাধারণ পর্যটকও মিশে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে পর্বতারোহীদের বিপদ বাড়ছে। ৮০০০ মিটারের উপর বাতাসের ঘনত্ব অত্যন্ত কম থাকে। তাই অক্সিজেনও কম থাকে। তার উপর মাঝে মাঝেই তুষাড় ঝড় সৃষ্টি হয়।
৪৬ বছরের বংশী লালের মৃত্যুর আগে, একজন ব্রিটিশ পর্বতারোহী এবং একজন নেপালি গাইড-সহ আরও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এভারেস্ট জয়ের পর, নীচে নামার সময় ব্রিটিশ পর্বতারোহী ড্যানিয়েল প্যাটারসন এবং তাঁর নেপালি শেরপা, পাস্তেনজি, বরফের উপর পড়ে মারা যান। সব মিলিয়ে এই মরসুমে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় অবশ্য এবার মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। গত বছর মোট ১৮ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।