পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, লালবাজার চৌপতিতে সাংগাঠনিক মিটিং সেরে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন অনিমেশ। অভিযোগ যে, সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। স্থানীয় বাসিন্দারা গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আক্রান্তকে শীতলকুচি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কোচবিহারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অনিমেশের হাঁটুর উপরে গুলি লেগেছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্তে শীতলকুচি থানার পুলিশ। এলাকায় রয়েছে প্রবল উত্তেজনা।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “রাতে হয়েছে। তবে যে এলাকায় হয়েছে, সেখানে বিজেপির লোক রয়েছে। আমার মনে হয় বিজেপির মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে।” যদিও এখনও পর্যন্ত বিজেপির তরফে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।"
ভোটের মুখে শীতলকুচি নিয়ে এমনিতেই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বেশি মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের দিন সে অর্থে শীতলকুচিতে অশান্তির খবর হয়নি। কিন্তু প্রথম দফার নির্বাচনের পর এই প্রথম হিংসার অভিযোগ উঠল।