নিউজ ডেস্ক : তীব্র দাবদহে হাঁসফাঁস করছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। ঠিক তখনই উঠছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। তাও আবার লোডশেডিং কে কেন্দ্র করে। কলকাতা সংলগ্ন এলাকা গুলিতে হাওড়া হুগলি নদীয়া পূর্ব বর্ধমান এ লোডশেডিং হচ্ছে একদম নিয়মিতভাবে। গরমের চাহিদাকে মাথায় রেখে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না বিদ্যুৎ পর্ষদ। প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই অতিরিক্ত পরিমাণে এসির ব্যবহার করছে সাধারণ মানুষ। যে কারণে লোড নিতে পারছে না। পাশাপাশি আবার টোটোতে চার্জ দেওয়ার কারনেও লোড নিতে পারছে না এমনটাই অভিযোগ উঠছে।
বিদ্যুৎ পর্ষদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুমিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "সল্টলেক-নিউটাউনে লোডশেডিংয়ের সমস্যা কমেছে। ২৪ পরগনা সাউথ, বারাসত, ব্যরাকাপুর, শ্রীরামপুর, হাওড়া হুগলিতে লোডশেডিংয়ের অভিযোগ উঠছে। প্রচুর লোড বেড়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো ছোট জেলাতেই ৪৭ শতাংশ লোড বেড়েছে। যেকারণে ভোল্টেজ ডাউন হচ্ছে"। তিনি আরও বলেন, "টোটোর জন্যও প্রচুর চাপ পড়ছে। নির্বাচন কমিশনের জন্য আমরা নজরদারি করতে পারছি না। আমরা যারা টোটো চালাচ্ছে তাঁদের জন্য ডোমেস্টিক রেটেই চার্জ দেওয়ার সুবিধা দিয়েছি। কিছু রেইডও করেছিলাম। সেখানে কিছু কিছু কেস ধরেছিলাম। ভোটের পর ফের রেইড করা হবে।"
কিছু টোটো চালক জানিয়েছেন, "তাঁরা রাতে টোটোর ব্যাটারি চার্জে বসিয়ে দেন। সারারাত চার্জ চলে। রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই এখন টোটো প্রধান পরিবহণ ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। অনেকের অভিযোগ টোটোয় ছেয়ে গেছে এলাকা। মানুষের থেকে টোটো বেশি চোখে পড়ছে রাস্তায়। বর্ধমান শহরে দিনের বেলায় টোটো প্রধান রাস্তায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ শয়ে শয়ে টোটো ঢুকে যান চলাচল ব্যহত করছে। ঘটছে দুর্ঘটনা"। আবার কারও কারও অভিযোগ, যাত্রীর থেকে টোটো বেশি রাস্তায়। ওইসব টোটো রাত হলেই চার্জে বসাচ্ছেন চালকরা। রাতভর চলছে চার্জ। একটা বিরাট চাপ পড়ছে বিদ্যুত জোগানের ওপর।