সূত্রের খবর, অগ্নিদগ্ধ মতিউল শেখের ঘরে নগদ প্রায় চার লাখ টাকা ছিল। আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা বাঁচানোর চেষ্টায় আগুনে ঝাঁপ দেন তিনি। কিন্তু টাকা বাঁচাতে পারেননি, বরং নিজেই আগুনে ঝলসে গিয়েছেন। মতিউলের ছেলেও আহত হয়েছেন। মতিউল ও তাঁর প্রতিবেশীদের মিলিয়ে মোট ৬টি পরিবারের ঘরে ৬ লাখ টাকা নগদ রাখা ছিল। একজনের ঘরে কিছু সোনা-দানাও রাখা ছিল। কিছুই অক্ষত অবস্থায় বের করতে পারেননি তাঁরা। সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বিধ্বংসী আগুনে।
আগুনে ঝলসে যাওয়া মতিউলের স্ত্রী ওলেমা বিবি জানাচ্ছেন, "ঘরে রাখা নগদ চার লক্ষ টাকা বাঁচাতে গিয়ে আমার স্বামী ও ছেলে ঝলসে গেছে। কিন্তু কিছু বাঁচাতে পারেনি। আমার দু’ভরি সোনার গলার মালা, কানের দুল, বাড়ির জিনিসপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।" আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলিমুল শেখের বাড়িও। তিনিও সদস্য বোনের বিয়ে দিয়েছেন। বাইক কেনার জন্য ঘরে দেড় লাখ টাকা নগদ রেখে দিয়েছিলেন। অবসন্ন গলায় আলিমুল বলছেন, "সেটাও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিছুই বাঁচাতে পারেনি।"
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে শুক্রবার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন গোপালপুরের অঞ্চল প্রধান আঞ্জুনারা খাতুন। তিনি বলেন, "ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বাড়ির টাকা পয়সা জিনিসপত্র কিছুই বের করা যায়নি। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সরকারিভাবে পরিবারের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায়, তার জন্য দরবার করব।"