এই দিকে, গরমের জেরে এতদিন এতদিন নাজেহাল ছিল বঙ্গবাসীরা। কালকের ঝড়বৃষ্টি যেন ম্যাজিক নিয়ে আছে। আর নেপথ্যে ঝাড়খণ্ডের ঘূর্ণাবর্ত। সেই ঘূর্ণাবর্ত থেকে মধ্য প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এই জোড়া ফলার হাত ধরেই পিছু হটেছে গরম হাওয়া। আপাতত ছুটি তাপপ্রবাহের। সোমবার দুপুরেই উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, ঝাড়খণ্ড, বাংলাদেশ, দু’দিক থেকে দক্ষিণবঙ্গের অন্দরে মেঘ ঢুকছে। একেবারে শুরুতে পশ্চিমের জেলা ও নদিয়ায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। পরে কলকাতা ও লাগোয়া জেলার আকাশেও চলে আসে জলভরা মেঘ। ঝড় ওঠে, সঙ্গে ঝেঁপে বৃষ্টি।গতকালের ঝড় বৃষ্টির জেরে পিছু হটেছে তাপপ্রবাহ। যার জেরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ২১.৭ ডিগ্রিতে। প্রায় ৪৬ দিন পর এতটা শীতল রাত পেয়েছে মহানগর। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ২০ ডিগ্রির আশপাশে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আজ ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত বজ্রপাত নিয়ে বিশেষ সতর্কবার্তা। গতকালের বজ্রপাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। সেই কারণে বজ্রপাতের সময় কংক্রিটের ছাদের নীচে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।