সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায়। বেলা বাড়তেই বৃষ্টি আরও বাড়বে। সন্ধে থেকে দুর্যোগ বাড়বে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব টের পাওয়া যাবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বিকেল ৫টার পর অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে।
শনিবার রাতেই জানা গিয়েছিল,সাগরদ্বীপ থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ক্যানিং থেকে রেমালের দূরত্ব ছিল ৩৬০ কিলোমিটার। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যেই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে রেমাল। মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়বে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই, সকাল থেকেই সুন্দরবনের আকাশে দেখা দিয়েছে দুর্যোগের কালো মেঘ। গোসাবায় ভোর থেকেই শুরু হয়েছে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি। তার মধ্যেই চলছে ফেরি সার্ভিস। বদ্বীপের বাসিন্দারা বৃষ্টি মাথায় করেই ফেরি পারাপার করছেন। রাতে নদীতে কোটাল চলবে। ফলে বন্ধ থাকবে পারাপার। তাই আগেভাগেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সুন্দরবনের প্রত্য়ন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালেই অতি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। বেলা গড়ালে বৃষ্টি আরও বাড়বে। সুন্দরবনের স্থলভাগেই ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের। উপকূলবর্তী এলাকায় সকাল থেকেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া রয়েছে।
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে আজ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে।
পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় চরম ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঘণ্টায় ১২০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে। নদিয়া মুর্শিদাবাদে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।