পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নীতিশ আদতে বিহারের বাসিন্দা। দিদির বাড়ি ফুলবাগানে। ফুলবাগানের ইউসি ব্যানার্জি রোডের সাফাই কর্মীদের কোয়ার্টারে থাকেন নীতিশের দিদি। নীতিশ মাসে আটেক আগে তাঁর দিদির কাছে চলে এসেছিলেন। ফুলবাগানেরই একটি ছোট দোকানে কাজ করতেন তিনি। মাসে যা আয় করতেন, তা বিহারে বাবা-মায়ের কাছে পাঠাতেন। এখানে দিদির পরিবারের সঙ্গে সাফাইকর্মীদের কোয়ার্টারে থাকেন। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, নীতিশ প্রতি রাতেই কোয়ার্টারের ছাদে ঘুমোতে যেতেন। সঙ্গে নিয়ে যেতেন একটি জলের বোতল। রবিবার রাতেই শুতে গিয়েছিলেন ছাদে।
কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানিয়েচ্ছেন, প্রতি রাতেই কোয়ার্টারের ছাদে বসত মাদকের আসর। একদল যুবক বসে সেখানে মদ, গাঁজা সেবন করতেন। রবিবার রাতে জলের বোতল নিয়েই সমস্যা সূত্রপাত। জানা যাচ্ছে, নীতিশের জলের বোতল চেয়েছিলেন আকাশ হরি নামে এক অভিযুক্ত। নীতিশ মদ খাওয়ার জন্য জল দিতে চাননি। ঝামেলা হওয়ায় জলের বোতল ছুড়ে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝগড়া হতে থাকে।
অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, এরপরই ছুরি, প্লাস নিয়ে হামলা চালানো হয় নীতিশের ওপর। পেট ফুঁড়ে যায় নীতিশের। রক্তাক্ত অবস্থায় ছাদে পড়ে যান নীতিশ। অভিযুক্তরা ভয় পেয়ে এলাকা ছাড়েন। পরে পুলিশ তদন্ত নেমে মূল অভিযুক্ত আকাশ হরিকে গ্রেফতার করে। ঘটনার নৃশংসতায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন কোয়ার্টারের বাসিন্দারা।