তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন–
"মা ও মা… এই হাত দিয়েই তো আগলে রাখতে আমাদের। বেরোলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়তে যতক্ষণ পর্যন্ত আমার গাড়িটা দেখা যেত। সবাইকে নিজের হাতে ইউনিক জিনিস বানিয়ে দিতে। এই হাতেই বছরের পর বছর স্টেরয়েডস, স্যালাইন সব সহ্য করেছ। তুমি খুব কষ্ট পেয়েছ, কিন্তু আমাদের দেখাওনি। নিজের ভাইকে ছোট বয়সে চলে যেতে দেখেছ, মা-বাবাকে হারিয়েছ। এখন তাঁদের সঙ্গেই আছো নিশ্চয়ই? মা ও মা…, তুমি দেখেছ আমার প্রথম নিঃশ্বাস। আমি দেখলাম তোমার শেষ নিঃশ্বাস। অক্সিজেন মাস্কের ভিতর থেকে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে, আসতে আসতে আওয়াজ কমল। নিঃশ্বাস তখনও চলছে, ভাবলাম এই তো আবার লড়াই করে ফিরছ বোধহয়। কিন্তু দেখলাম চোখের পাতা পড়ছে না তোমার। নিঃশ্বাস তখনও চলছে। ডাক্তার এসে বলল, আর কিছু সময়। এত কিছু করেও বাপি আর নিজেকে সামলাতে পারল না। হাসপাতালের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। আমি তোমার হাতটা শক্ত করে ধরেছিলাম। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মা মা করে ডাকছি। ১০ সেকেন্ডে একবার করে গলার শিরাটা উঠছে। মানে মা বেঁচে আছে। মা-এর বেডে আমার চোখের জল পড়তেই নিজেকে সামলে নিলাম। তারপর সেকেন্ড পেরিয়ে গেল, শিরাটা থেমে গেল। মা…"
তন্বীর এই পোস্ট দেখা মাত্রই মানসিকভাবে তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। তাঁর মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করছেন। কেই আবার সমবেদনা জানিয়ে ভরসা জোগাচ্ছেন তন্বীর মনের ।