এমনিতেই চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান। সেই সঙ্কট দূর করতে জনগণের উপরেই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বিপুল করের বোঝা। এই অতিরিক্ত কর, মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ সঙ্কটের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে নেমেছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। পিওকে-র রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদ, দাদভাল, মিরপুর, সামাহনি, সেহানসা, রাওয়ালকোট, তত্তপানি সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হতেই রুদ্রমূর্তি নেয় পাক বাহিনী। বিক্ষোভকারী সাধারণ জনতার উপরে চড়াও হয় পুলিশ। ব্যাপক লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস এমনকী, শূন্যে একে-৪৭ চালানোর অভিযোগও উঠেছে। বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিক নেতাকে।
প্রসঙ্গ অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভ নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে জল, বিদ্য়ুতের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। সম্প্রতিই পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতার দাবিতেও সরব হন বাসিন্দারা। এরপরই আরও কড়া হাতে বিক্ষোভ দমন শুরু করেছে পুলিশ ও পাকিস্তানি রেঞ্জার্সরা।
শনিবার সকালে শান্তিপূর্ণভাবেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জায়গা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলের সংখ্য়া বাড়তেই উত্তেজনাও বাড়ে। বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট চালায়। পরে প্য়ারামিলিটারি গুলি চালায় বলেও অভিযোগ।