এরপর চিকিৎসকরা টেলিস্কোপিক পদ্ধতিতে শিশুর গলায় অস্ত্রোপচার করে মুদ্রাটি বের করেন। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, এপ্রিল মাসেও তার গলা ও পেটে ব্যথা ছিল। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পর সে সুস্থ বোধ করতে শুরু করে। গত ৪ জুন আবারও একই যন্ত্রণা শুরু হয়। এবার যন্ত্রণা অসহ্য হয়।
১২ বছর বয়সী ওই নাবালকের বাবা অজয় বলেন, "৪ জুন ছেলে তাঁকে জানায় যে তার প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। সে সহ্য করতে পারছে না। তাই আমরা তাকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ইএনটি সার্জেন ডাঃ বিবেক সিং গলা চেকআপ করার পর খোঁজ খবর নেন। তখন হঠাৎ আমাদের মনে পড়ে, সাত বছর আগে কয়েন গিলে ফেলেছিল। সেই কারণেই কি এমন হচ্ছে? তারপর এক্স-রে করা হয়।
শিশুর বয়স যখন পাঁচ বছর তখন সে এই মুদ্রা গিলে ফেলেছিল। কয়েন বের না হলেও বিশেষ কোনও সমস্যা হয়নি। এতে পরিবারের সদস্যরাও ভুলে যায়। মাঝে মাঝে বমি করতেন। তাহলে সে ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু এবার যন্ত্রণা সীমা ছাড়িয়ে গেল। তাই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মুদ্রাটি অপসারণ করা হয়।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কয়েনটি গলতে শুরু করেছিল। এমনভাবে আটকে ছিল যাতে শিশুকে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি। কিন্তু দেড় মাস আগে তার জন্ডিস হয়। রুটিন চেকআপের সময় যখন এক্স-রে করা হয়, তখন মুদ্রাটি দেখা যায়। এরপর তার চিকিৎসা করা চিকিৎসক পরিবারকে জানালেও তারা গুরুত্ব দেয়নি।