মমতা বলেন, “২০১৬, ২০১৯ ও ২০২১ সালের এক্সিট পোল দেখেছি। কোনোটাই মেলাতে পারিনি। কারণ, এগুলো সব বিজেপির তৈরি। মিডিয়াকে খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই মাস আগেই এই এক্সিট পোলগুলি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই কোম্পানিটাও বিজেপির কোম্পানি। অভিষেক আজ সাংবাদিক বৈঠক করবে। নিশ্চয়ই এই বিষয়ে কথা বলবে। বিজেপি কিছু লোক পোষে। সবাই বলে মিডিয়া থেকে ‘ই’টা উঠিয়ে দাও। ‘ও’ লিখে দাও তার বদলে। ‘মিডিয়া’ তখন ‘মোডিয়া’ হয়ে যাবে।”
শনিবার ভোট শেষে, বৈঠক হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের। জোটের প্রায় সব দলের নেতারাই উপস্থিত ছিলেন, ছিলেন না মমতা। বৈঠকের পর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে দাবি করেছেন, ২৯৫ আসন পেতে চলেছে ইন্ডিয়া জোট। ইন্ডিয়া জোটের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নিয়ে এতটাও আত্মবিশ্বাসী নন মমতা। তিনি বলেন, “আমি এই রকম কোনও কথা বলতে পারব না। অন্য় রাজ্যের তথ্য নেই আমার কাছে। তাই, আমি অন্য রাজ্যের বিষয়ে বলতে পারব না। তবে অখিলেশরা ভাল করবে, তেজস্বীরা ভাল করবে, স্ট্যালিনরা ভাল করবে। উদ্ধবরা ভাল করবে। যেখানে যেখানে আঞ্চলিক দল রয়েছে, তারা ভাল ফল করবে। যেই-ই আসুক না কেন, খুব বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসবে না।”
অর্থাৎ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এবারের নির্বাচনে সমানে-সমানে লড়াই হয়েছে। এনডিএ এবং ইন্ডিয়ার আসন সংখ্যা গায়ে-গায়ে থাকতে পারে। ইন্ডিয়া জোটও যদি ক্ষমতায় আসে, খুব বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের থাকবে না। সেই ক্ষেত্রে জোটে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে, তা ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিলেন মমতা। মমতাকে বাদ দিয়ে সরকার গঠ করা যাবে না। ইতিমধ্যেই তিনি ঘোষণা করেছেন, বাইরে থেকে ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন দিতে প্রস্তুত। এইদিন তিনি বলেছেন, “হ্যাঁ, আমরা সরকারে যাব। আলোচনা করব আমরা। আমি অর্বাচিন উত্তর দিতে রাজি নই। আমি আগে রেজাল্ট দেখব, তারপর বিবেচনা করব। আমাদেরও একটা অঙ্ক রয়েছে।”