প্রিয়াঙ্কা দে -২০০৭-এ উদ্বোধনী বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। তারপর ২০১৪ সালে দুর্দান্ত খেলার সত্ত্বেও ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হার। মাঝে সেমিফাইনাল অবধি পৌঁছেছে ভারত। গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনাল ও ভারতের মাঝে ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ইংরেজ শিবিরের কাছে হেরে যায় ভারত । এই বারে সেই ইংল্যান্ডকে হারিয়েই তৃতীয় বার ফাইনালে ভারতীয় দল।
গায়ানায় বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল যার ফলস্বরূপ ম্যাচের শুরু ও মাঝেও বৃষ্টি হয়েছে। ম্যাচ ভেস্তে গেলেও ফাইনালে উঠত ভারত। কিন্তু টার্গেট সেটা ছিল না। গত বারের বদলা নিয়েই ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য ছিল ভারতের। বাঁ হাতের সুন্দর প্রদর্শনে তা পূরণও হল। ভারতের স্পিনের ঝাঁঝে গায়ানায় ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ ট্রফি থেকে প্রোটিয়া-পথ দূরে ভারত।
বিধ্বংসী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস হারতেই চাপ সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পর এই পিচে ব্যাটারদের জন্য সমস্যা তৈরি হবে। ভারত শুরুতেই বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্থের উইকেট হারিয়ে সাময়িক ভাবে চাপে ছিল। কিন্তু রোহিত শর্মার বিধ্বংসী ইনিংস, স্কাইয়ের সঙ্গে জুটি ভিত গড়ে দেয়। এরপর হার্দিক, জাডেজা, অক্ষরদের অবদানে ২০ ওভারে ১৭১ রান করে ভারত। এই স্কোর নিয়ে প্রয়োজন ছিল দুর্দান্ত বোলিং। আর সেটাকেই প্রয়োগ করে ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে রোহিতরা।
ইংরেজ শিবিরের প্রথম আঘাত দেয় অক্ষর প্যাটেল। পাওয়ার প্লে-তেই জোড়া উইকেট তুলে নেন তিনি। সবমিলিয়ে মোট তিন উইকেট নেন। পাওয়ার প্লে-তে বিধ্বংসী ফিল সল্টকে ফেরান এ বারের বিশ্বকাপ তথা এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরা। পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেট হারিয়েই যেন ভারসাম্য হারায় ইংল্যান্ড। এরপর শুধুই স্পিনের বিরুদ্ধে যাওয়া আসার পালা। অষ্টম ওভারে অক্ষর ফেরান মইন আলিকে। এরপর দায়িত্ব তুলে নেন কুলদীপ যাদব। অক্ষর-কুলদীপ দু-জনেই তিনটি করে উইকেট। ইংল্যান্ডের কফিনে শেষ উইকেটটি নেন জসপ্রীত বুমরা। জোফ্রা আর্চারকে লেগ বিফোর করে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ করে দেন মাত্র ১০৩ রানেই।