নিউজ ডেস্ক -উত্তরে প্রবল বৃষ্টি আর দক্ষিণে গরমের জ্বালায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ। রাজ্যের দুই প্রান্তে দুরকমের আবহাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ফলে, ভ্যাপসা গরমে নাকাল হবে কলকাতা-সহ বাকি জেলার বাসিন্দারা। সপ্তাহান্তেও আরামদায়ক আবহাওয়ার সম্ভাবনা নেই এবার। রবিবারের মধ্যে বর্ষা আসার সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে।
আপাতত বিক্ষিপ্ত ঝড়-বৃষ্টিই ভরসা দক্ষিণবঙ্গের জন্য। শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। আকাশ মেঘলা হলে শনিবার থেকে একটু কমতে পারে গরম।
তবে এ বার বর্ষা জুড়ে যে উদ্বেগ বাড়াতে পারে তিস্তা নদী, সেই আঁচ পাওয়া গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বর্ষার শুরুতেই দেখা গেল, তিস্তার জল উঠে এল রাস্তার উপর। অক্টোবরে লেক ফেটে যে বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তারপর বালি জমেছে তিস্তার খাতে। নদীখাতে জমাট বেঁধেছে পুরু বালির স্তর। ফলে, কয়েক মিটার উঁচুতে বইছে তিস্তা।
নাব্যতা কমে যাওয়ায় বাংলার নীচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জল বয়ে যাওয়ার জায়গা না পেলেই দু’দিকই ভাসবে। আর জল বেশি বাড়লে তিস্তা-পাড়ের রাস্তায় ধসের আশঙ্কা থাকবে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বারবার ধস নামতে পারে বাংলা-সিকিম জাতীয় সড়কে।
গত মঙ্গলবার একদিনে ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, ফুঁসছে তিস্তা। বিপাকে পড়তে পারেন কয়েক হাজার পর্যটক। জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। জলপাইগুড়িতে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হয়েছে। বাংলার পাহাড় ও সিকিমে আরও ধস নামতে পারে।