নিউজ ডেস্ক -ফুটপাথে ঘুমিয়ে থাকা এক চিত্রশিল্পীকে পিষে দিলেন রাজ্যসভার এক সাংসদের কন্যা। দুর্ঘটনার পরই সেখান থেকে পালিয়েও যান তিনি। আহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সাংসদের কন্যাকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু, থানা থেকেই জামিন পেয়ে গেলেন রাজ্যসভার সাংসদ বিদা মস্তান রাওয়ের মেয়ে মাধুরী।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে বিএমডব্লু চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাংসদের কন্যা। চেন্নাইয়ের বেসান্ত নগরে মত্ত অবস্থায় ফুটপাথে ঘুমিয়ে ছিলেন বছর চব্বিশের সূর্য নামে এক চিত্রশিল্পী। তাঁকে পিষে দেয় সাংসদ কন্যার গাড়িটি। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর গাড়ি নিয়ে পালান মাধুরী। আর তাঁর বান্ধবী গাড়ি থেকে নেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে দেন। কিছুক্ষণ পর তিনিও সেখান থেকে চলে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা সূর্যকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
মাত্র আট মাস আগে বিয়ে হয়েছিল সূর্যর। দুর্ঘটনার পর তাঁর আত্মীয় পরিজনরা থানায় বিক্ষোভ দেখান। গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়িটি শনাক্ত করে পুলিশ। দেখা যায়, গাড়িটি সাংসদের কোম্পানির। তারপরই গ্রেফতার করা হয় মাধুরীকে। কিন্তু, থানা থেকেই তিনি জামিন পেয়ে যান।
একজন সাংসদের কন্যা এভাবে ফুটপাথে ঘুমন্ত মানুষকে পিষে দিয়েও কীভাবে থানা থেকেই জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এমনই ঘটনা দেখা গিয়েছিল মাসখানেক আগে। গত ১৯ মে পুনেতে দুই যুবক-যুবতীকে পিষে দিয়েছিল বছর সতেরোর এক কিশোর। মত্ত অবস্থায় দুরন্ত গতিতে একটি পোর্শে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় একটি মোটরবাইকে ধাক্কা মেরেছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড তার জামিন মঞ্জুর করে। পথ নিরাপত্তা নিয়ে ৩০০ শব্দের একটি রচনা লিখতে বলা হয় ওই কিশোরকে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছিল। পরে ওই কিশোরের জামিন বাতিল হয়।