নিউজ ডেস্ক : গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব ভোট মিটে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় উঠেছে সবুজ ঝড় অর্থাৎ তৃণমূলের জয়জয়কার চারিদিকে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে পাঁচ বছরে লিট বেড়েছে অনেকটাই। ২০১৯ সালের দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে পিছনে ফেলে ম্যারাথন দৌড়ে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের চন্ডীতলা বিধানসভা থেকেই এই চিত্র উঠে এসেছে। চন্ডীতলা শুধু শাসকদলকে লিড দিয়েছে তাই নয় বিজেপি ভোটের হার ও কমিয়ে দিয়েছে। তুলনামূলকভাবে বামেরা কিছুটা ভোট বাড়াতে পেরেছে। পরিসংখ্যান বলছে হুগলি জেলার মধ্যে শ্রীরামপুর লোকসভার মধ্যে চন্ডীতলা বিধানসভা থেকেই বিপুল পরিমাণে ভোট দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত করে দিয়েছে।
এখানে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব ছিল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সংসদ ঘনিষ্ঠ নেতা ড: সুবীর মুখোপাধ্যায়ের হাতে। তিনি বলেছেন ,"সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছেন। রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্প স্থানীয় নেতৃত্বের সংযোগ এই সবই উনার বিপুল জয়ের মূলে আছে। বিজেপির ভেদাভেদের রাজনীতি চন্ডীতলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই কারণে আইএসএফও এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি"।বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মোহনাদক বলেন ,"গত বিধানসভার তুলনায় আমাদের ভোট বেড়েছে সার্বিক ফলাফল দলীয় স্থলে পর্যালোচনা করব। "এরই মধ্যে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী দিপ্সিতা ধর বলেছেন ,"আমাদের ভোটের হার এবং প্রাপ্ত ভোট কিছুটা বেড়েছে আমরা চন্ডীতলার মানুষের কাছে এই সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ"।প্রায় ১৫ টা বছর ধরে শ্রীরামপুরের চন্ডীতলা বিধানসভা তৃণমূলের গড় হিসেবে পরিচিত।
গত বিধানসভা ভোটে এই আসনের সিপিএমের মহম্মদ সেলিম ও আই এস এফ এর সমর্থনে লড়েও শেষ রক্ষা হয়নি। বিজেপি টলিউডের এক নায়ককে ভোটের প্রার্থী করেও চন্ডীতলার মাটি দখল করতে পারেনি। ফলে এবারে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে চন্ডীতলায় তৃণমূলের জয় নিয়ে চিন্তার ছাপ কিংবা কোনরকম সংশয় কোনটাই ছিল না। শুধু প্রশ্ন ছিল ব্যবধান কত হবে? চন্ডীতলা থেকে ১৭২১৬ ভোটে এগিয়েছিলেন ২০১৯ সালের তৃণমূলের বিদায়ী সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তা হয়েছে ৩৫হাজার ৩৫০ ভোটে পৌঁছেছে। প্রসঙ্গত এবার কিন্তু ভোটদানের হার খুবই কম ছিল সেই নিরিখে দাঁড়িয়ে ওই লিড আরো বাড়তি মাত্রা এনে দিয়েছে। গত লোকসভায় বিজেপির মোট ভোট ছিল ৩৬ শতাংশ। এবার দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও সেই হার কমে হয়েছে ৩১ শতাংশ। পাশাপাশি গত লোকসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস পৃথকভাবে লড়ে ২৪ হাজার ৮৯২ এবং ৫২০০ ভোট পেয়েছিল। এবার কিন্তু জোট করে বাম প্রার্থী পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৬২ ভোট।