সুনীল ছেত্রীর জন্য বিদায়ী সংবর্ধনার ব্যবস্থা ছিল। ড্রেসিংরুম থেকে অন্য সুনীল বেরোলেন। ততক্ষণে কিছুটা হয়তো নিজেকে বোঝাতে পেরেছেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি প্রাক্তন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে স্মারক তুলে দেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা সোনার চেন উপহার সুনীল ছেত্রীকে। ১৯ বছর দেশের হয়ে খেলেছেন সুনীল। ১৯টা গিনির কাজে সোনার চেন। সেই গিনির ডিজাইন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান কর্তারাও উপস্থিত। সঙ্গী ভারতীয় ফুটবলের নানা কিংবদন্তি। ক্যাপ্টেনের পাশে থাকলেন সকলেই। গ্যালারি থেকে বারবার সেই চেনা ধ্বনি, ছেত্রী…ছেত্রী…। একের পর এক স্মারক জমা হচ্ছিল সুনীলের ক্যাবিনেটে। বাবা, মা, স্ত্রী। পরিবারের সকলেই উপস্থিত। ম্যাচ শেষে সুনীলের সঙ্গে তাঁর পরিবার। আর ফুটবল পরিবারও। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট তুলে দিলেন বিশেষ স্মারক। প্রাক্তন সতীর্থরা সুনীলের সঙ্গে ফটোসেশন করলেন।
এইসবের পর অনেক কষ্টে তিনি শুরু করলেন, "যাঁরা গত ১৯ বছর ধরে আমাকে একটা মুহূর্তের জন্যও সামনে থেকে কিংবা ভিডিয়োতে খেলতে দেখেছেন, অটোগ্রাফ নিয়েছেন, ভরসা করেছেন, প্রত্যেককে ধন্যবাদ। মন থেকে একটা কথা বলতে চাই, সকলে ভালো থাকবেন। প্রত্যেককে অসংখ্য ধন্যবাদ।"