টানা বৃষ্টির জেরে বাড়ছে জলস্তর , ধসে যাচ্ছে মাটি, চিন্তায় উত্তরবঙ্গ

 


নিউজ ডেস্ক - একদিকে গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ আর অপরদিকে বর্ষার বৃষ্টিতে কার্যত নাজেহাল উত্তরবঙ্গ। লাগাতার বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ফালাকাটা ও ধূপগুড়ি ব্লকের ডুডুয়া নদীর মাঝে থাকা সাধুর ঘাট এলাকা। অতি বৃষ্টির জেরে ধসে গিয়েছে বাঁশের সাঁকো। দুপাশ থেকে মাটি সরতে শুরু করেছে। যার জেরে চিন্তায় পড়ে  গেছেন এলাকাবাসীরা। এই দিকে, ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ৩৭.১ মিলিমিটার। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রর্তার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। অন্যদিকে, বৃষ্টি কার্যত ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে হাসিমারা ২৫৪. ১ মিলিমিটার, বারোবিশা ২৩১.৬ মিলিমিটার,আলিপুরদুয়ারে ২৩০.২ মিলিমিটার, চেপানে ২১১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এ দিকে, একটানা বৃষ্টিতে ডুয়ার্সের একাধিক নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে। জলস্তর বেড়েছে ডুডুয়া নদীতে। যার জেরে চিন্তার ভাঁজ ওই এলাকার বাসিন্দাদের। বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। মূলত, জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লক ও অপর পাশে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের সংযোগ করছে এই সাঁকো। ভেসে গেলে ২০ কিলোমিটার পথ ঘুর পথে আসতে ধূপগুড়ি শহরে। চিকিৎসার জন্য মানুষ যেমন এই সাঁকো ব্যবহার করেন একই সঙ্গে জীবিকার জন্যও তাঁদের ব্যবহার করতে হয় এই সাঁকো। তাই এলাকাবাসী মরিয়া চেষ্টা করছেন যাতে সেটিকে কোনওভাবে রক্ষা করা যায়।

অপরদিকে, রাতভর বৃষ্টির জেরে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে তিস্তা নদীতেও। গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে রবিবার সকাল ৬ টায় ১৩৯৫ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। বেলা ৯ টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮০০ কিউমেক। পাশাপাশি আজ জলঢাকা নদীর সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত উভয় এলাকায় জারি করা রয়েছে হলুদ সর্তকতা। তিস্তার মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এলাকায় জারি হলুদ সতর্কতা।

Priyanka Dey

প্রিয়াঙ্কা দে । আশুতোষ কলেজ থেকে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা । পরে খেলাধুলা নিয়ে মিডিয়া জগতে প্রবেশ। বর্তমানে DNN বাংলার ও KKR এর কনটেন্ট টিমে কর্মরত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন