নিউজ ডেস্ক - দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে এল বর্ষা। কিন্তু গরম থেকে নিস্তার পাওয়া গেলেও গরমের দাপট সৃষ্টি হয়েছে বাজারগুলিতে। রবিবারের সকালে বাজারে গিয়ে শাকসবজির দামে হাতে ছ্যাঁকা খাচ্ছে মধ্যবিত্ত। অগ্নিমূল্য বাজারে শাক-সবজি কিনতে গিয়ে দাম শুনে অবাক হচ্ছেন অনেকেই। সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে বেগুন, টমেটো থেকে কাঁচা লঙ্কা, শসার দাম। দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ, সর্বত্র একই ছবি।
কলকাতার একাধিক বাজারে তো কাঁচা লঙ্কা দেড়শো টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ১০০ টাকা কেজি। পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩১ টাকা কেজি জ্যোতি আলু। চন্দ্রমুখী আলু ৩৬ টাকা। এক ক্রেতা বলছেন, “দাম তো প্রচুর সব কিছুরই। কিন্তু আর করা যাবে। খেতে তো হবে।” এক গৃহবধূ বলছেন, “আলু, পেঁয়াজের তো রোজ দরকার। কিন্তু, কী করে যে ঘর সমলাচ্ছি আমরাই জানি। হেঁশেল সামলাতে নাকানি-চোবানি খেতে হচ্ছে।”
ব্যবসায়ীরা বলছেন," জোগান কম থাকাতেই এই অবস্থা। অনেকেই বলছেন, বিগত কিছুদিনে প্রবল গরমে ক্ষতি হয়েছে শাক-সব্জির। পাশাপাশি গরমের পর আচমকা বৃষ্টিতেও ফসলে ধরেছে পচন। আলু, পেঁয়াজের আমদানি কমে গিয়েছে।"
যদিও ক্রেতারা বলছেন, "যা পরিস্থিতি তাতে সরকারের নজরদারির বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।" প্রশ্ন উঠছে টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়েও। তাঁদের কেন দেখা মিলছে না সেই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।
এদিকে বাজারে আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও চাষিরা কিন্তু ক্ষতির মুখেই পড়ে রয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, এ বছর গোটা রাজ্যেই আলুর ফলন অনেক কম হয়েছে। অন্য বছর বিঘা পিছু গড়ে ৫০ কেজির ১০০ বস্তা আলু হয়ে থাকে। এবার তা বিঘা পিছু কমে দাঁড়িয়েছে ৭০ বস্তায়। তাতেই চাপে পড়েছেন কৃষকরা। লাভ তো দূর চাষের খরচও ঘরে তুলতে না পেরে মাথায় পড়েছে হাত।