ভারতীয় সময় অনুযায়ী রাত ৮ টায় শুরু হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল ১০.৩০। সে সময় তাপমাত্রা থাকার কথা ২০ ডিগ্রির আশেপাশে। কিন্তু আবহাওয়া মেঘলা থাকবে। এমনকি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। পূর্বাভাস যদি মিলে যায়, সঠিক সময়ে যে ম্যাচ শুরু হবে না, বলাই যায়। শুধু বৃষ্টি হলে হয়তো এতটা চিন্তার বিষয় থাকত না। বৃষ্টি থামলে ম্যাচ শুরু করাই যেত। কিন্তু পূর্বাভাস আরও বলছে, বজ্রপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই যা ঝুঁকির বিষয়।
পরিস্থিতি দেখলে দু-দলই চাইবে টস জিতে রান তাড়া করতে। কারণ, লাগাতার বৃষ্টি না হলেও পূর্বাভাস তো রয়েইছে। হতে পারে এর ফলে ওভার কমল। সে ক্ষেত্রে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি কাজে লাগতে পারে। আর সেই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলই বেশির ভাগ সময় অ্যাডভান্টেজে থাকে। এ বার আসা যাক পিচ প্রসঙ্গে। ভারত-আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পরই আইসিসি এক বিবৃতিতে নাসাউয়ের পিচ নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছিল। পাশাপাশি এমনও বলা হয়েছিল, পরবর্তী ম্যাচগুলিতে সেরা পিচ দিতে বদ্ধপরিকর তারা। গত কাল এই মাঠেই মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস। সেটিও লো-স্কোরিং ম্যাচ হয়েছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা পিচ নিয়ে বলেছিলেন, কিউরেটরও পিচ নিয়ে ধোঁয়াশায়, সুতরাং রোহিতের পক্ষে তো বলা আরও কঠিন। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার ইরফান পাঠান নিউ ইয়র্কের পিচ নিয়ে বলছেন, ‘টস জেত এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। আমার মনে হচ্ছে, সেই অসমান বাউন্স থাকবেই। ফলে শুরুতে ব্যাট করা দল দ্রুত উইকেটও হারাতে পারে। অসমান বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমার মতে, ভারত-পাকিস্তানের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচ ভালো পিচে হওয়া উচিত। যে দল শক্তিশালী তারা জিতবে।’
নিউ ইয়র্কের পিচে ওয়ার্ম আপ সহ দুটি ম্যাচ খেলেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। দুটিতেই জয়। তুলনামূলক ভাবে বেশি চাপ পাকিস্তানের। প্রথম বার নাসাউয়ের এই মাঠ, পিচ এবং পরিস্থিতিতে খেলতে চলেছেন বাবররা।