মাঝ এপ্রিল থেকে মাঝ জুন। এই দুই মাস মৎস্য প্রজননের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় একটি বড় অংশের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে মাছ ধরার উপর। দুই মাস মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে যাতে মৎস্যজীবীদের কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকারও। চালু হয়েছে ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্প। ব্যান পিরিয়ডের এই দুই মাসে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
ব্যান পিরিয়ড উঠতে বাকি আর এক সপ্তাহ। তার আগে ট্রলারে রঙ করা থেকে শুরু করে তেল ভরা, বরফ মজুত করা এবং অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে নিচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। জালের বাঁধন যাতে কোনওভাবে আলগা না হয়, তা নিশ্চিত করতে শেষ মুহূর্তে জালের গিঁটও বেঁধে নেওয়া হচ্ছে শক্ত করে। উল্লেখ্য, দিঘা, রামনগর, খেজুরি, মহিষাদল, কোলাঘাট-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩০০০-এরও বেশি মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার আগে বিভিন্ন ট্রলারগুলিতে চলছে পুজো দেওয়ার পালা।