নিউজ ডেস্ক : সারমেয় হত্যা এই ঘৃন্য অপরাধটি চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। গত কয়েকদিন আগে পোলবা থানা এলাকায় তারপর শ্রীরামপুর, চন্দননগর, উত্তরপাড়ার পর আবার হুগলী জেলায় সারমেয় হত্যার অভিযোগ উঠল। ভদ্রেশ্বর থানার চন্ডীতলায় গত চার পাঁচ দিন আগে পাঁচটি সারমেয়কে বিষ খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। চারটির মধ্যে দুটি ১৭ তারিখ মারা যায় একটি ১৮ তারিখ সন্ধ্যায় ও আরও একটি ১৯ তারিখ সকালে মারা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীমতী স্বপ্না রায় আশ্রয় হোম এন্ড হসপিটাল ফর এ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের কাছে অভিযোগ জানান। স্বপ্না দেবীর আরও অভিযোগ বিষ খাওয়ানোর বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানানো হলেও কোনো ফল হয়নি। ১৮ তারিখ রাত ৮ থেকে থেকে ১০টা পর্যন্ত ভদ্রেশ্বর থানায় বসে থেকে পুলিশকে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করা হলেও পুলিশ অভিযোগ নেয়নি, উল্টে পুলিশ বলে, "এই ভাবে কিছু হয় না আপনারা প্রমাণ নিয়ে আসুন"।
অভিযোগ পেয়ে আশ্রয় হোম এন্ড হসপিটাল ফর এ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ঐ এলাকায় যান। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন এখানে চুরি ছিনতাই জুয়া মদসহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম লেগেই থাকে।দুস্কৃতিকারীরা তাদের দুস্কর্ম করার সময় কুকুর চিৎকার করে, অসামাজিক কাজে ওদের অসুবিধা হওয়ার কারণেই সারমেয়দের বিষ খাওয়ায়। আশ্রয়ের বক্তব্য অভিযোগ গুরুতর, "পশু নির্যাতন ও হত্যা বিরোধী আইন অনুযায়ী মামলা হওয়া উচিৎ। অথচ থানার অভিযোগ না নেওয়া আমাদের বিস্মিত করছে। এটা অত্যন্ত অমানবিক কাজ। ওরা বলতে পারেনা তাই মানুষ ওদের নানা ভাবে অত্যাচার করে। অথচ ওরা মানুষকে বন্ধুই ভাবে"।স্থানীয় বাসিন্দা রিয়া সিং বলেন ,"আমরা ওদের খেতে দিই, ভালবাসি সেটা সমাজবিরোধীদের পছন্দ নয়। আমাদের উপরও ওদের রাগ আছে"।
আশ্রয় হোম এন্ড হসপিটাল ফর এ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজ দুপুরে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, হুগলী জেলা সভাপতি ও চন্দননগর মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। দাবি করা হয় দ্রুত মৃত সারমেয়গুলির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার। অভিযোগ নিতে ভদ্রেশ্বর থানা কেন অস্বীকার করল তাও খতিয়ে দেখার আবেদন করা হয়।