নিউজ ডেস্ক - শুক্রবার দুপুর ১২টার সময়ে হাসপাতালের ভিতর থেকে জরুরী বিভাগে ঢুকতে দেরি হওয়ায় মৃত্যু হল এক শিশুর । কালচিনি উত্তর লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে সন্তানের জন্ম দেন এক প্রসূতি। কিন্তু অভিযোগ, জেলা হাসপাতালে পৌঁছলেও, হাসপাতালের ভিতরে যত্রতত্র মোটরবাইক ও স্কুটার দাঁড়িয়ে থাকায় আটকে যায় অ্যাম্বুল্যান্সটি। পর সে সব সরিয়ে জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালে প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের জন্য নির্দিষ্ট ভবনের ২০-২৫ মিটার রাস্তা পৌঁছতে আরও কুড়ি মিনিট সময় লেগে যায়।এরপর সদ্যোজাতকে নিয়ে সেখানে পৌঁছলে ডাক্তারেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার পরিতোষ মণ্ডল অবশ্য বলেন, "গ্রামীণ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, প্রসূতির গর্ভে থাকা অবস্থাতেই সন্তানের হৃৎস্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিল না। সে জন্য মহিলাকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটিকে দেখে আমরা নিশ্চিত, তার মৃত অবস্থাতেই জন্ম হয়েছে।"
কিন্তু কালচিনির সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানের বাসিন্দা সুস্মিতা সাঁওতাল নামে ওই প্রসূতির বলেন," অ্যাম্বুল্যান্সে জন্ম দেওয়ার পরে, আমার পক্ষে ছেলের অবস্থা বোঝা সম্ভব ছিল না। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা আমার দিদিমা নীলমণি সাঁওতালকে প্রথমে বলতে শুনেছিলাম, ‘বাচ্চা শ্বাস নিচ্ছে না’। পরে অবশ্য তিনি বলেন, ‘বাচ্চা শ্বাস নিচ্ছে’। ঠিক সময়ে এসএনসিইউ-তে পৌঁছনো গেলে আমার সন্তান হয়তো বেঁচে যেত।"
আবার যে অ্যাম্বুলেন্স-এ করে সুস্মিতাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়ে, তার চালক বিকি তিরকির দাবি করেন, “জেলা হাসপাতালের কাছেই অ্যাম্বুল্যান্সে বাচ্চাটি জন্মায়। ওর মুখ থেকে কান্নার শব্দ পেয়েছিলাম।”