নিউজ ডেস্ক - ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশানের জুনপুট থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণের ট্রায়াল চলবে প্রথম দফায় ১৭ থেকে ১৯ তারিখ, দ্বিতীয় দফায় ২৪ থেকে ২৬ তারিখ অবধি, এমনটাই জানা যাচ্ছে। সে কারণেই সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত নিরাপত্তার কারণে মৎসজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করছে ডিআরডিও, মৎস দফতর। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মিসাইল উৎক্ষেপনের জন্য মৎসজীবীদের সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ঠিক একই কারণে গত ১৬ মে থকে ৩০ মে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। বারবার নিষেধাজ্ঞা জারির জেরে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে মৎসজীবীদের। ফলে এবারও সেই একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে, এমনই আশঙ্কা করে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি। বৃহস্পতিবার জুনপুট ভূমিরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে জুনপুটর মতো জনবহুল এলাকায় মিসাইল উৎক্ষেপন কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে কাঁথি ১ বিডিওর নিকট ডেপুটেশনও দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের পক্ষ থেকেও উৎক্ষেপন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করা হলে শোরগোল পড়ে গেছে প্রশাসনিক মহলে। মৎস্যজীবী সংগঠনের সাধারণ সম্পদক দেবাশিষ শ্যামলও এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন," বারবার নিষেধাজ্ঞা জারি করে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছেন মৎসজীবীরা। সে কারণেই আমরা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
আবার অপরদিকে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক নোটিস যে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন কাঁথি মৎস্য দফতরের সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুমন সাহা।