নিউজ ডেস্ক - প্রথমে মোবাইল কেনার বায়না ধরে দ্বাদশ শ্রেনীর। এক মাত্র ছেলের বায়না পূরণ করে মোবাইল কিনে দেন বাবা-মা। এরপর মোবাইলে ফ্রি অনলাইন গেম অ্যাপ ডাউনলোড। সারাক্ষণ শুধু সেই গেমেই আসক্ত হয়ে থাকত। পড়াশোনার মন বসছিল না তাঁর। এরপর আস্তে আস্তে সেই আসক্তি হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। গেম কেনার জন্য টাকা দাবি করতে থাকে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র। কিন্তু তা বাবা-মা মেনে না নিলে তার পরিণতি হয় ভয়ঙ্কর। অনলাইনে মোবাইলের গেম আসক্ত হয়ে টাকা জোগাড় করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শেরপুর এলাকার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ সূত্রের খবর , মৃত ছাত্র অর্ঘ্য ভট্টাচার্য (১৮)। সে কাঁথি মডেল ইনস্টিটিউশনে দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, অর্ঘ্য খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। কয়েক মাস আগে বাবা মায়ের কাছে মোবাইল কেনার দাবি করে অর্ঘ্য। একটি দামী মোবাইলও কিনে দেন বাবা। তারপরেই অর্ঘ্য অনলাইনে মোবাইলে ফ্রি- ফায়ার গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে । মোবাইল কিনে দেওয়ার পর তেমনি পড়াশোনায় মন দিচ্ছিল না সে। এরপর গেমের জন্য টাকা দাবি করতে থাকে। অর্ঘ্য বাবা-র কাছে টাকা চাইতে শুরু করে। কিন্তু বিষয়টা বুঝতে পেরে বাবা টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন।
গত দুদিন ধরে বাড়িতে এই নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাঁথি থানার পুলিশ। তারা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
কাঁথি পুরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অতনু গিরি ফোনে বলছেন," অনলাইনে মোবাইলে গেম খেলার জন্য এমনই পরিণতি। শুধু অর্ঘ্য নয় বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবরা অনলাইনে গেমে আসক্ত হয়েছে। এর পেছনে বড় চক্র রয়েছে বলেই মনে হয়।"
ছাত্রের বাবা বলেন, “ফোনটা চেয়েছিল, দিয়েছিলাম। ভাবিনি এমন হবে। ওদের স্কুলের অনেকেরই ফোন রয়েছে, বায়না করত তাই। ফ্রি তে গেম খেলত, সেটাও জানতাম। ভাবতাম বাচ্চা ছেলে খেলছে, পড়ার ফাঁকে। কিন্তু তা বলে এমন হয়ে যাবে, ভাবতেও পারছি না।”
Ki obostha
উত্তরমুছুন