সেখ আব্দুল আজিম,৩০ জুলাই ২০২৪, হুগলি: স্টেশন সংস্কারের নামে রেল স্টেশনে থাকা বড় বড় গাছ কেটে ফেলায় সেই সব গাছে বসবাস করা পক্ষীকূলের জীবন বিপন্ন। ঘটনার প্রতিবাদে হোম এন্ড হসপিটাল ফর এ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন আশ্রয় ।
সমাজমাধ্যম ও স্থানীয় মানুষ সূত্রে জানা যায় গত ২৯ জুলাই রিষড়া রেলওয়ে স্টেশনে নির্মম ভাবে কিছু গাছ কাটা হয়। ফলে ঐ গাছে বসবাসকারী প্রায় দুই শতাধিক পানকৌড়ি, বকসহ নানা প্রজাতির পাখির জীবন বিপন্ন হয়। মৃত্যু মুখে পতিত হয় প্রায় ৫০ বেশি বক ও পানকৌড়ি শাবক। কিছু শাবক বনদফতর উদ্ধার করেছে৷ কিছু স্থানীয় মানুষ, কিছু মারাও গেছে, কিন্তু বাকি শিশু ও পূর্ণ বয়স্ক পক্ষীদের খবর আজ অজ্ঞাত৷ এই অবিবেচনা প্রসূত বৃক্ষ নিধনের জেরে সঙ্গীন অবস্থা হয়েছে গাছে থাকা সাধারণ বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় পাখিদের।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র দায় ঠেলেছেন ঠিকাদার সংস্থার উপর। কিন্তু মঙ্গলবার রিষড়া স্টেশন ম্যানেজারের কাছে আশ্রয়ের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয় ঠিকাদার সংস্থার কাজের উপর নজরদারি করার দায়িত্ব তো রেল কর্তৃপক্ষের। যদি যথাযথ নজরদারি থাকত, তাহলে নিরীহ অবলা পাখিদের উপর নৃশংস আক্রমণ করে তাদের গৃহহারা করা হত না। পাশাপাশি ঠিকাদার সংস্থা এবং দোষী রেল কর্মীদের বিরুদ্ধে এফ আই আর ও আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় আশ্রয়।
এদিন প্রায় কয়েকশো পশু ও পরিবেশ প্রেমী মানুষ বুকে পোষ্টার নিয়ে রিষড়া স্টেশনে অবস্থান প্রতিবাদ করেন। অবস্থান চলাকালীন খবর আসে এখনও কাটা গাছগুলোর নীচে আটকে আছে পক্ষীশাবকরা। আশ্রয় কর্মিরা স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় তাদেরও উদ্ধার করে বন দফতরের আধিকারিকের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু আরও পাখি আটকে থাকার আশঙ্কায় বনদপ্তরের কাছে আবেদন জানানো হয় তাদেরও উদ্ধার করার।
উল্লেখ্য , আশ্রয় (হোম এন্ড হসপিটাল ফর এ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন) হুগলী জেলায় পশুপাখি নির্যাতনের বিরুদ্ধে, পশু অধিকার রক্ষায় ও পশুপাখিদের পাশে থেকে তাদের যাপনে সহযোগিতা করার কাজ করে আসছে। পাশাপাশি ঐ বিষয়ে সচেতনতার কর্মসূচিও নিয়মিত পালন করে। অদূর ভবিষ্যতে একটা পশুহাসপাতাল ও আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলাও অন্যতম লক্ষ্য।