নিউজ ডেস্ক - শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের কোচিং সেন্টারে বেসমেন্টের জমা জলে ডুবে মৃত্যু হল তিন আইএএস পড়ুয়ার। ওই দিন তারা কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে লাইব্রেরিতে গিয়েছিলেন । আর সেখানেই আচমকা ঢুকতে শুরু করে বৃষ্টির জল। অনেকে বেরিয়ে গেলেও ওই তিন জন পড়ুয়ারা । ফলে তাদের বেসমেন্টেই মৃত্যু হয়। মৃত পড়ুয়াদের নাম, তানিয়া সোনি শ্রেয়া যাদব এবং নেভিন দালউইন ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোচিং সেন্টারটির বেসমেন্টে একটি লাইব্রেরি ছিল। সেখানে শনিবার সন্ধ্যায় পড়তে গিয়েছিলেন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন পড়ুয়া। আচমকা সেখানে বৃষ্টির জল ঢুকতে শুরু করে।ফলে বেরিয়ে আসার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাননি অনেকেই। কেউ কেউ সাধারণ ভাবে বেসমেন্ট থেকে উঠে আসতে পেরেছিলেন আবার বাকিদের উপর থেকে দড়ির সাহায্যে তুলতে হয়েছে।কোচিং সেন্টারের বেসমেন্ট অন্তত নয় ফুট গভীর ছিল বলে জানা যাচ্ছে। আর প্রবল বৃষ্টির কারণে তার প্রায় পুরোটাই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল।
খবর দেওয়ার কিছুক্ষণ পর দমকল এবং পুলিশ উদ্ধারকাজ শুরু করেন। উদ্ধারকাজ চালানোর পরে প্রথমে দুই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। তারও কিছু ক্ষণ পর জল থেকে তোলা হয় এক ছাত্রের দেহ। তখনও ওই বেসমেন্ট প্রায় সাত ফুট জলমগ্ন ছিল বলে পুলিশ জানায়। বেসমেন্টটি পুরোপুরি জলে ভরে যাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে প্রচণ্ড বাধা পেতে হয় দমকল এবং পুলিশকে। পাম্পের মাধ্যমে সেখান থেকে জল তোলা হচ্ছিল।
রাতে ঘটনাস্থল থেকে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "আমরা নির্দিষ্ট কিছু ধারায় মামলা রুজু করেছি। এখানে ফরেন্সিক দল এসেছে। ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। গোটা ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হবে। এখনও পর্যন্ত আমরা দু’জনকে আটক করেছি।"
গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে দিল্লিতে ফলে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু বেশি বৃষ্টিতেও যাতে বেসমেন্টে জল না ঢোকে, সাধারণত তার বন্দোবস্ত থাকে কোচিং সেন্টারগুলিতে। তাই কোনও দরজা আচমকা খুলে গিয়ে রাজেন্দ্রনগরের সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকেছিল কি না বা কোথাও কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখচ্ছে পুলিশ।