নিউজ ডেস্ক - সোমবার সকাল থেকে আলু ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতির জন্য হিমঘর থেকে আলু বের হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য যে, বাজারে সোমবার থেকেই জোগান কমবে আলুর। হিমঘর থেকে শনিবার যা আলু বের করা হয়েছিল তা বাজারে প্রায় শেষের দিকে। অর্থাৎ সোমবার থেকেই বেশির ভাগ বাজারে পাওয়া যাবে না আলু।আর এর ফলস্বরূপ যেটুকু আলু মজুত করা রয়েছে, তার মূল্য হবে আকাশছোঁয়া। রাজ্যে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন আলুর প্রয়োজন পড়ে খাওয়ার জন্য।
কিন্তু হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নিল কেন হিমঘর অ্যাসোসিয়েশন ও রাজ্য প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি?
সূত্রের খবর, বাজারে ইতিমধ্যেই আলুর দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে, কখনও বাজারে ট্রাক্সফোর্সের অভিযান চলছে, তো কখনও আবার হিমঘরে আধিকারিকদের হানা। তাদের আরও অভিযোগ যে, রাজ্যের একাধিক বর্ডারে আলুর গাড়িকে পুলিশের পক্ষ থেকে আটকে দেওয়া হচ্ছে আর সেই জন্য গাড়িতেই নষ্ট হচ্ছে আলু। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও এই বিষয় নিয়ে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তুলছেন প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির পদাধিকারীরা।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির পদাধিকারীদের দাবি, ভিন রাজ্য আলু যাতে না যায়, তার জন্য বর্ডারে রীতিমতো পুলিশ জুলুমবাজি করছে। বর্ডারে দিনের পর দিন গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ফলে আলু নষ্ট হয়। চলতি সময়ে বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধির জন্য আলু ব্যবসায়ী ও সমিতির তরফে এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন বাজারে ন্যায্যমুল্যের আলু বিক্রয় কেন্দ্র খুলে সাধারণ মানুষকে কম দামে আলু বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার আলু ব্যবসায়ীদের কথা ভাবছে না বলে পাল্টা অভিযোগ করছেন তারা।
ফলে মঙ্গলবার থেকেই বাজারে দেখা দিতে পারে আলুর সঙ্কট, যার জন্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে ক্রেতাদেড়। অমিত নামে এক ক্রেতার কথায়, “বাজার বেরোলে মাথা হাত পড়ছে দাম শুনে। মুখে রাজনৈতিক নেতৃত্বরা যে কথা বলছেন, তার কিন্তু কোনও প্রতিফলন বাজারে বেরোলে দেখা যায় না। আগের যা পরিস্থিতি, তাই রয়েছে। নির্দেশ দেওয়া, কার্যকারী হওয়া, তার মধ্যেই বিস্তর ফারাক। আগে কিছু না হলে মানুষ বলত আলুসেদ্ধ ভাত খাব, কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতিটাও আর নেই। মানুষ সেটাই বা বলে কীভাবে।” এক আলু ব্যবসায়ী বলেন, “বন্ধে কিন্তু ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি। আলু তো স্টকে থেকে যাবে। আলু বেরিয়ে গেলেই ভালো। কিন্তু পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, যে বন্ধ ডাকতে বাধ্য হয়েছে। ”