নিউজ ডেস্ক - মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের ছত্রক গ্রামের একটি স্কুলে পড়ুয়াদের দাবি যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ডিম দেওয়া হচ্ছে না। আরও অভিযোগ যে মাঝে মধ্যেই বন্ধ থাকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। যার জন্য পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখায়।
অভিভাবকদের অভিযোগ উঠছে অঙ্গনওয়াড়ি ওই কেন্দ্রে কাজ করা জবা দাস নামে এক কর্মীর বিরুদ্ধে। তাদের দাবি কেন্দ্র থেকে নাকি শিশুদের ভাল মানের খাবার দেওয়া হয় না। কেন্দ্রে কর্মী আসার নিদির্ষ্ট কোনও সময় নেই। প্রায়ই দেরি করে স্কুলে উপস্থিত হন তাঁরা। বেশিরভাগ দিনই খাবার পায় না শিশুরা। কর্মীদেরকে বলতে গেলে তারাও কোনও গুরুত্ব দেননা। বরং নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেন।
তিন দিন ভাত ও তিন দিন খিচুড়ি দেওয়ার নিয়ম থাকার সত্ত্বেও মাসে দুই থেকে তিনদিন ভাত দেওয়া হয়। বাকি সব দিন খিচুড়ি দেওয়া হয়। খিচুড়ি শুধু লবণ ও হলুদ দিয়ে রান্না করা হয়। যা শিশুরা কখনো খেতে পারেন না। মাসের বেশিরভাগ সময় সেন্টার বন্ধ রাখা হয়।
স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “সেন্টারের চার্ট থাকার কথা। সেখানে যা খাবার দেওয়া হয় মুখে তোলা যায় না। সঠিক সময়ে আসে না। কিছু করে না। অল্প খাবার নিয়ে আসে।”
ভিযুক্ত মহিলা নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি বলেছি তিন বছরের বাচ্চারা আমার স্কুলে থাকবে। আমি বিনামূল্যে স্কুল করব। হেলপার রান্না করব। আমি এটা বলেছি। ওরা শুনছে না। বাকি যা যা বলছে সব মিথ্যা কথা।”