WEST BENGAL ঘাটাল হাসপাতালে মৃত্যু এক নবম শ্রেনীর ছাত্রীর , চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের

 

নিউজ ডেস্ক -হঠাৎই জ্বর, বমি হওয়ায় এক নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ২ জুলাই। ৬ জুলাই চিকিৎসকরা ফিট সার্টিফিকেট দিয়ে ছেড়ে দেন। কিন্তু পরদিন আবারও একই ঘটনা ঘটে। এরপরই ঘাটাল হাসপাতালে ওই ছাত্রীকে পুনরায় নিয়ে আসা হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। জানা যায় কিডনিতে স্টোন ছিল যার জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার হরিশপুর গ্রামের বিনয় বাগের মেয়ে সুমৌবি বাগের মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন  মৃতের পরিবার। এছাড়াও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ তোলে তারা। এই দিকে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার উত্তেজনা ছড়ায় ঘাটাল হাসপাতাল চত্বরে। পরে ঘাটাল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার ঘাটাল হাসপাতালে জ্বর, বমি নিয়ে ভর্তি হয়। শনিবার চিকিৎসকরা হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেন। আত্মীয় নারায়ণ বাগের কথায়, “কিডনিতে পাথর হয়েছিল। মেয়েটাকে এখানে এনেছিলাম। কিন্তু প্রথম থেকেই নার্সদের ব্যবহার খুব খারাপ। ওরা চাইত লাথি মেরে রোগী ফেলে দিতে। পাঁচ জায়গা থেকে পাঁচটা রিপোর্ট করাল। অথচ একই রিপোর্ট, কিডনিতে পাথর।”

মৃত ছাত্রীর মা বলেন, “মেয়েটা বলছিল মা আমি চলে যাব, চলেই গেল। ডাক্তার এসে সারা হাতে স্যালাইন দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোথাও না পেরে শেষে পায়ে চ্যানেল করল। আর ডাক্তাররা কী বাজে ব্যবহার করছে। এমার্জেন্সিতে যে রোগী ভর্তি হয়েছে, একবার ভাল করে দেখছে না পর্যন্ত। সকালে মেয়েকে এনেছি, এল কত বেলায়। এসে কী বাজে ব্যবহার ডাক্তারের। রিপোর্ট দেখবে কী, চোখ বুলিয়ে ছুড়ে ফেলে দিল। নার্সগুলোকে ডাকছি স্যালাইন শেষ বলে, কী বাজে ব্যবহার করছে। চিকিৎসার গাফিলতিতে এই অবস্থা হল আমার মেয়ের।” ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের সুপার মহেশ্বর মান্ডি জানান, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে।

Priyanka Dey

প্রিয়াঙ্কা দে । আশুতোষ কলেজ থেকে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা । পরে খেলাধুলা নিয়ে মিডিয়া জগতে প্রবেশ। বর্তমানে DNN বাংলার ও KKR এর কনটেন্ট টিমে কর্মরত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Type Your Valuable Feedback.
Keep Supporting. Flow as on YouTube & Facebook.

নবীনতর পূর্বতন