নিউজ ডেস্ক - এসএসকেএমের মতো হাসপাতালে কঠোর নিরাপত্তা থাকার সত্ত্বেও হাসপাতালে ভাঙচুর। এই ঘটনায় রক্তাক্ত হলেন জুনিয়র চিকিৎসক সুব্রত শূর। রবিবার এক রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার ইউনিটের পাঁচতলায়। ওয়ার্ডের ভিতর মৃতের পরিজনদের ছোড়া স্যালাইনের বোতলের হাত থেকে রক্ষা পেতে অন্য রোগীর পরিজনেরা ওয়ার্ড ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন । এরসাথে মহিলা ওয়ার্ডের দরজায়ও লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ শোনা যায়।
চিকিৎসকদের তরফ থেকে জানা যায়, বুধবার সেখানে ভর্তি হয় ১৫ বছরের এক নাবালক । তার বোন ক্যান্সার হয়েছে বলে মনে করে ছিলেন ডাক্তাররা। তাই সেইমতো পরীক্ষানিরীক্ষা চলছিল। এদিন বুকের এক্স-রে করতে পাঠিয়েছিলেন ডাক্তার সুব্রত শূর। এরপর তার কাছে আসা ফোনে তিনি জানতে পারেন, আচমকা রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। চিকিৎসক গিয়ে সিপিআর দিতে শুরু করেন ওই নাবালককে। সেই সময় নাবালকের বাবাও ছিলেন। পরে সিনিয়র ডাক্তার এসে তাকে জানান যে তার ছেলে মারা গিয়েছে।
এরপরই মৃতের দুই দাদা এসে গালিগালাজ শুরু করে। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় ভাঙচুর। হাতের কাছে যা পায়, তাই ছুড়ে ফেলেন। এই পরিস্থিতি দেখে ভয়ে বাকি রোগীরা ওয়ার্ড ছেড়ে পালাতে শুরু করেন। সেই ভাঙচুরের মধ্যে ওই তিনজন ঘিরে ফেলেন ওই ডাক্তারকে। করিডরের দেওয়ালে চেপে ধরেন। সেই ডাক্তারের চিৎকার শুনে একজন ওয়ার্ড বয় ও আরও একজন ছুটে এসে কোনওভাবওই চিকিৎসককে উদ্ধার করেন।