নিউজ ডেস্ক - শুক্রবার বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের রামপুর থেকে পিয়ারবেড়া যাওয়ার রাস্তায় অবস্থিত শালী নদীর উপর ভেঙে পড়ল সেতুর মাঝের অংশ।ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০ থেকে ৫০টি গ্রামের। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটতেই অন্যান্য নদীর মতোই বাঁকুড়ার শালী নদীর জলস্তর নেমেছে ।ফলে কেটেছে বন্যার আশঙ্কা। কিন্তু নতুন বিপদ ধেয়ে এল সোনামুখী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের উপর। নদীর জল নামতেই ধসে পড়ল আস্ত সেতুর একাংশ। এই ঘটনার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও। পড়াশোনা থেকে স্বাস্থ্য, গৃহস্থের নিত্যদিনের বাজার থেকে শুরু করে উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করা সমস্ত কিছুর জন্য সোনামুখী ব্লকের পিয়ারবেড়া, হামিরহাটি ও ধুলাই এই ৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষজন সোনামুখী শহরের উপর নির্ভরশীল। আর সেইখানের পাকা কংক্রিটের সেই সেতু দিয়েই এতদিন ভালোভাবেই যাতায়াত ছিল। যা ঘূর্ণাবর্তের প্রবল বৃষ্টিতেও বন্ধ হয়নি যোগাযোগ। তবে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটতে না কাটতেই সেতুর হাল বেহাল হতে শুরু করে।
এইদিন সেতুর মাঝামাঝি অংশে একাধিক পিলার বসে যাওয়ায় সেতুর একাংশ পুরোপুরি ঝুলে গেলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় মেরামতি না হওয়ার ফলেই সেতুর এই দুর্দশা। ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, সেতুর বেহাল দশার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে।
সেতুটি ধসে পড়ার জন্য শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, শাসকদলের সাহায্যে সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে দিনের পর বালি চুরি হওয়ার ফলেই ভিত নড়বড়ে হয়ে সেতুটি ধসে পড়েছে। যদিও বালি চুরির অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে শাসকদল। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সেতুটি ধসে পড়ার পিছনে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের অভিযোগ স্বীকার করেছেন।