নিউজ ডেস্ক - নদিয়ার করিমপুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ। প্রতিবেশীরা ওই যুবকের বাবা মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে তুলছেন। যুবকের বাবা-মাকে গ্রেফতার করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে উঠে যায় বিক্ষোভ। জানা যাচ্ছে, নদিয়ার করিমপুর থানার কাঁঠালিয়া গ্রামের বাসিন্দা পাগল বালা এবং সুলতা বালার এক পুত্র সন্তান ছাড়াও চম্পা রায় নামে এক কন্যা রয়েছে। বিয়ে হয়েছে পাশের গ্রামে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, শনিবার সকালে চম্পা তাঁর শ্বশুরবাড়ির গ্রাম রামকৃষ্ণপুরের সকলকে জানান যে, তাঁর ভাই জ্বরে মারা গিয়েছেন। এর মধ্যেই শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ বালাদের বাড়িতে এক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ কিনতে আসেন। পেঁয়াজ রাখার ঘর খুলতেই তিনি দেখেন যে, চাল থেকে ঝুলছে নবীন বালার দেহ। ওই ব্যবসায়ীর দাবি, তিনি ছুটে গিয়ে নবীনের মা এবং বাবাকে জানালেও তাঁদের মধ্যে কোনওপ্রকার প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এরপর বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হতে তিনি প্রতিবেশীদের জানান। প্রতিবেশীদের দাবি, তারা এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন পাগল এবং সুলতা।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মেয়েকে বেশি স্নেহ করতেন ওই দম্পতি। যার জেরে দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক অত্যাচার করতেন ছেলের উপর। ফলে নবীন মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর সেই সুযোগে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখে তাঁর পরিবার। কিন্তু মৃতের পরিবারের পাল্টা দাবি, তাদের ছেলের উপর তন্ত্রমন্ত্র প্রয়োগ করতেন প্রতিবেশীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা খুকুমণি সরকার বলেন, ‘‘ মেয়েকে বেশি ভালবাসতেন বাবা-মা। ছেলে সম্পত্তির ভাগ নেবে, এই কথা ভেবে তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরে খুন করার চেষ্টা করছেন। ছেলে বার বার সে কথা আমাদের জানিয়েছিলেন। আমরা কিছু বলতে গেলে আমাদের গালিগালাজ করতেন। এটা আত্মহত্যা নয়।’’ মৃত যুবকের বাবা পাগল বালা বলেন, ‘‘ ছেলেকে প্রতিবেশীরা নষ্ট করেছেন। ওঁরাই ওঁকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন।’’ তেহট্ট মহকুমার পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার জানালেন, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুই পক্ষের অভিযোগ এবং বয়ান খতিয়ে দেখা হবে।আর আইন অনুযায়ী তদন্ত চলবে।