নিউজ ডেস্ক - ফের প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির কর্মবিরতির ডাক ।এর আগেও গত ২০ জুলাই রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। যা টানা ৫দিন চলেছিল। আর ফের আজ, সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিলো এই সমিতি। সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি উত্তম পাল জানালেন, সোমবার থেকে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই তাঁরা আর কাজ করবেন না। আর এই পরিস্থিতি চললে খুচরো বাজারেও আলুর অভাব শুরু হবে যার ফলে আলুর দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবলভাবে।গত বারের কর্মবিরতিতে আলু রফতানি নিয়ে পুলিশের বাধার অভিযোগ তোলা হয় যার জেরে রাজ্যে আলুর সঙ্কটও তৈরি হয়েছিল। আর রীতিমতো বাজারগুলিতে আলুর দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। পরে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদাররা বৈঠক করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এরপরও আলু ব্যবসায়ীদের দাবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি উত্তম পাল বলেন, “যতদিন না বর্ডারে কাজকর্ম স্বাভাবিক হচ্ছে আমাদের কর্মবিরতি চলবে। আমরা কোনও কাজ করব না। কারণ আমাদের কাজ বাইরের রাজ্যে আলু পাঠানো। কিন্তু সেটা পাঠাতে পারছি কোথায়? যেগুলো এখানে বিক্রি হয় না সেগুলি আমরা বাইরের রাজ্যে পাঠাই। আগে ২২-২৩-২৪ কর্মবিরতির ডাক দিই। কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না আমাদের ডেকেছিলেন। হরিপালে গিয়েছিলাম। বলেছিলেন, কর্মবিরতি তুলে নিতে। সমস্যা মেটাবেন। বর্ডার খোলা হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। ৮ অগস্ট সিঙ্গুরে বেচারাম মান্না, প্রদীপ মজুমদার ডেকেছিলেন সিঙ্গুরে। সমস্ত জেলার প্রতিনিধি এসেছিলেন। স্টোর মালিকরাও ছিলেন। ওখানে প্রদীপবাবু প্রস্তাব দিলেন কেজি প্রতি ২৫ টাকা, ২৩ টাকা দাম করলে সুবিধা হবে।”